২০১৫ সালে সাফ অনুর্ধ্ব-১৬ টুর্নামেন্ট দিয়ে সাদ উদ্দিনের উত্থান। জাতীয় দলে এক সময় নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়ই ছিলেন। ডিফেন্সে ভুল করে গোল হজম এবং ইনজুরি তাকে দলে অনিয়মিত করে তুলেছে। সাদ উদ্দিনের গোলে আজ বিশ্বকাপ বাছাই খেলার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ। ৮৬ মিনিটে স্বাগতিক মালদ্বীপ গোল করে জয়ের দোরগোড়ায় ছিল। ৯২ মিনিটে সাদ উদ্দিনের গোলে বাংলাদেশ সমতা এনে এক পয়েন্ট পায়।
ম্যাচের শেষের দিকেই কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা সাদ উদ্দিনকে নামান। নামানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ গোলটি করেন। গোল প্রসঙ্গে সাদ উদ্দিন বলেন, ‘এটা অনেকটা কঠিনই ছিল। আমি রাইট ব্যাক পজিশনে ছিলাম এবং রক্ষণেই মনোযোগ ছিল। আমরা পিছিয়ে রয়েছি এবং ইনজুরি সময় থাকায় আক্রমণে যাই। সুযোগ পেয়ে কাজে লাগিয়েছি।’ সাদ উদ্দিন এক সময় ফরোয়ার্ড থাকলেও এখন ডিফেন্ডার হিসেবেই খেলেন।
এই মালদ্বীপেই দুই বছর আগে নেপালের বিপক্ষে ম্যাচের শেষ দিকে তার করা ফাউলে বাংলাদেশ ফাইনাল থেকে ছিটকে যায়। সেই মালদ্বীপেই এবার সাদ উদ্দিন বাংলাদেশকে গোল করে পয়েন্ট এনে দিয়েছেন। তাই গোল করে জার্সি খুলে উল্লাস করেছেন। গোলের উল্লাস নিয়ে বলেন, ‘সবাই চেষ্টা করছিল গোল করার। গোল করতে পারছিল না। এমন মুহূর্তে গোল পেয়েছি। অনুভূতি আসলে ব্যাখ্যা করতে পারব না।’
বাংলাদেশ এক পয়েন্ট পাওয়ায় তৃপ্ত এই ফুটবলার, ‘আমাদের জেতা দরকার ছিল। এরপরও শেষ পর্যন্ত একটা পয়েন্ট পেয়েছি এটাও গুরুত্বপূর্ণ।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।