প্রিয় দলের অনুজ্জ্বল, শ্রীহীন পারফরমেন্স দেখে যারপরনাই হতাশ বাংলাদেশের ক্রিকটে সমর্থকরা। চারদিকে সমালোচনার ঝড়। শুধু ক্রিকেটাররা নয়, সমালোচনার হাজারো তীর টিম ম্যানেজমেন্ট, কোচিং স্টাফ এবং বিসিবি কমকর্তাদের দিকেও।
দেশের সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব আল হাসানকেও হোম অফ ক্রিকেটে ‘দুয়ো’ ধ্বনি শুনতে হয়েছে।
এক কথায় জাতীয় দল, কোচিং স্টাফ আর বিসিবি- ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট সবাই সমালোচনার শিকার। তাদের নিয়ে রাজ্যের নেতিবাচক কথা-বার্তা। অধিনায়ক সাকিব, হেড কোচ হাথরুসিংহের পাশাপাশি তাকে নিয়েও অনেক কথা চারদিকে। এ সমালোচনা মুখর পরিস্থিতিটা কিভাবে দেখছেন বিসিবি সভাপতি?
আজ রোববার কলকতার তাজ বেঙ্গল হোটেলে বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের সাথে আলাপে এসব নিয়েও কথা বলেছেন নাজমুল হাসান পাপন। স্বীকার করেছেন, দল খারাপ খেলছে। পারফরমেন্স ভাল হচ্ছে না। নেতিবাচক কথা বার্তা ও সমালোচনা হবেই। ‘মানুষ বোর্ডকে বলবে, কোচিং স্টাফকে বলবে, প্লেয়ারদের বলবে। এটা স্বাভাবিক, এটা নিয়ে বলা উচিত না- এমন কিছু না।’
তবে বিসিবি সভাপতি মিডিয়াকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, বিশ্বকাপের মাঝামাঝি পর্যায়ে তিনি নিজে ক্রিকেটারদের কড়া কথা শোনাতে চান না। বা শোনাননি।
তার কথা, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যেহেতু সিরিজ চলছে, টুর্নামেন্ট চলছে, আরও তিনটা ম্যাচ আছে। আবার এই ম্যাচগুলোতে আহামরি কিছু করতে পারব সেটাও না। তবে আমি মনে করি আমরা সক্ষম। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এখনও ভাল কিছু করা সম্ভব।’
সেই ‘ভালোটা’ কি? তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন পাপন। বোঝাতে চেয়েছেন জয়-পরাজয়ের চেয়েও বড় হলো ভাল খেলা এবং মাঠে সামথ্যের সেরাটা উপহার দিয়ে লড়াই করা।
পাপনের কথা, ‘জয়-পরাজয় বড় কথা নয়, ভালো ক্রিকেট খেলাটা আসল। আমাদের ব্যাটিং ভালো হচ্ছে না। ওদের এটাই বলেছি, দে শুড ফাইট ব্যাক। ওরা কি চায় বলুক, যখন যা চায় আমরা আছি। ওরা কথা দিয়েছে, ওরা বসবে। এটাও বলেছে চাওয়ার কিছু নাই। আমি কথা বলে মনে হয়েছে ওরা এখন অনেক বেশি সিরিয়াস। এটা নিয়ে চিন্তা করছে কিভাবে আরও ভালো করা যায়।’
ক্রিকেটারদের ভৎসনার বদলে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেছেন, ‘ওরা (ক্রিকেটাররা) কি চায় বলুক, যখন যা চায় আমরা আছি।’
বিসিবি প্রধানের শেষ কথা, ‘আশা করা ছাড়া উপায় নাই। আমি বলেছি। খারাপ সময়ে মানুষ অনেক কিছু বলবে। কারণ ভালো সময়ে মানুষ মাথায় নিয়ে নাচে। তাহলে খারাপ সময়ে বলবে না কেন; কিন্তু এই খারাপ সময়ে কেউ না থাকলেও আমরা আছি। কিসের জন্য আছি? সামনে ওরা যাতে ভালো খেলে সে জন্য। এই বিশ্বাসটুকু আমাদের ওদের প্রতি আছে। আমাদের যে শক্তিসামর্থ্য আছে এটা নিয়েই আমাদের লড়তে হবে। ইচ্ছা করলেই আমারা কোনো পরিবর্তন আনতে পারব না। খেলোয়াড় তো বটেই কোনো জায়গাতেই পরিবর্তন আনা এখন সম্ভব না। তাই এ সবকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে সামনের ম্যাচগুলো ভালো খেলুক এটাই প্রত্যাশা।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।