জাতীয় বয়সভিত্তিক সাঁতার মানেই বিকেএসপির দাপট। ব্যতিক্রম হয়নি এবারো। মঙ্গলবার শেষ হওয়া ৩৬তম জাতীয় বয়সভিত্তিক সাঁতারে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা।
৮৪টি সোনা, ৫৭টি রূপা ও ১৬টি ব্রোঞ্জ পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এই ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। ৫ সোনা, ৭ রুপা ও ২২ ব্রোঞ্জ পেয়ে রানার্সআপ কিশোরগঞ্জের নিকলী সুইমিং ক্লাব।
ছেলেদের বিভাগে সেরা সাঁতারু হয়েছেন বিকেএসপির মোহাম্মদ তোফায়েল। তিনি জিতেছেন ৯টি সোনা ও ১টি রুপা। এর মধ্যে ২টি ইভেন্টে নতুন জাতীয় রেকর্ডও রয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলীর এই সাঁতারুর। মেয়েদের বিভাগে সেরা সাঁতারু হয়েছেন অ্যানি আক্তার। বিকেএসপির এই সাঁতারু ১২টি সোনা জিতেছেন। এর মধ্যে ৫টিতেই গড়েছেন নতুন জাতীয় রেকর্ড।
মিরপুর সৈয়দ নজরুল ইসলাম সুইমিং কমপ্লেক্সে মঙ্গলবার শেষ দিনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০টি ইভেন্ট। এর মধ্যে শেষ দিনে হয়েছে আরও ৪টি রেকর্ড। সব মিলিয়ে সাঁতারে রেকর্ড হয়েছে ২০টিতে।
বিকেএসপির দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র তোফায়েল ২০১৪ সালে প্রথম বয়সভিত্তিক সাঁতারে অংশ নেন। কিন্তু এর আগে কখনও সেরা সাঁতারু হতে পারেননি। এবার অধরা স্বপ্ন পূরণ করতে পেরে তিনি খুশি, ‘এবার আমার আত্মবিশ্বাস ছিল সেরা সাঁতারু হতে পারবো। আমার প্রস্তুতি ভালো ছিল। অনেকগুলো ইভেন্টে অংশ নিয়ে একটু কষ্ট হয়েছে। কিন্তু সেই কষ্ট ভুলে গেছি সেরা সাঁতারু হওয়ার পর। আমি দেশের হয়ে একদিন এসএ গেমসে সোনা জিততে চাই।’
অ্যানি এর আগে আরও ২ বার হয়েছেন সেরা। ২০১৯ ও ২০২২ সালের পর আবারও সেরা হতে পেরে উচ্ছ্বসিত কুষ্টিয়ার আমলার কিশোরী, ‘দ্বিতীয় দিনে আমি অনেক পেছনে পড়ে গিয়েছিলাম। কোনও রেকর্ড হয়নি সেদিন। ভেবেছিলাম এবার হয়তো আমি সেরা সাঁতারুর পুরস্কার পাবো না। কিন্তু পরের দুই দিন আবারও নিজের সেরা টাইমিং করে সাঁতরেছি। শেষ পর্যন্ত সেরা হতে পেরে খুব ভালো লাগছে।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।