ঢাকাSunday , 11 June 2023
  1. অলিম্পিক এসোসিয়েশন
  2. অ্যাথলেটিক
  3. আইপিএল
  4. আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আরচারি
  7. এশিয়া কাপ
  8. এশিয়ান গেমস
  9. এসএ গেমস
  10. কমন ওয়েলথ গেমস
  11. কাবাডি
  12. কুস্তি
  13. ক্রিকেট
  14. টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
  15. টেনিস

ম্যানচেস্টার সিটির ট্রেবল জয়

parag arman
June 11, 2023 2:05 pm
Link Copied!

রড্রির একমাত্র গোলে ইন্টার মিলানকে ফাইনালে ১-০ ব্যবধানে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা শেষ পর্যন্ত ঘরে তুলেছে ফেবারিট ম্যানচেস্টার সিটি। আর এই জয়ে পেপ গার্দিওলার দল ঐতিহাসিক ট্রেবল জয়েরও কৃতিত্ব দেখিয়েছে।

বার্নার্ডো সিলভার কাটব্যাক থেকে ৬৮ মিনিটে ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক অলিম্পিক স্টেডিয়ামে রড্রি গোল করে সিটিকে এগিয়ে দেন। ম্যাচের শুরু থেকে অবশ্য মিলানের প্রতিরোধের মুখে তাদের স্বাভাবিক ছন্দে খেলতে পারছিল না সিটি। এই গোলে ইংলিশ চ্যাম্পিয়ন শিবিরে স্বস্তি ফিরে আসে। যদিও ৩৬ মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনার ইনজুরিতে মাঠত্যাগ সিটিকে দু:শ্চিন্তায় ফেলেছে।

এবারের মৌসুমে সিটির হয়ে সর্বোচ্চ ৫২ গোল করা আর্লিং হালান্ড কালও গোল পাননি। এনিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচে গোলবিহীন থাকলেন এই নরওয়েজিয়ান তরুণ। কিন্তু ইতালিয়ান প্রতিপক্ষকে পিছনে ফেলে নিজেদের ক্লাব ইতিহাসে প্রথমবারের মত ইউরোপীয়ান সর্বোচ্চ আসরের শিরোপা জিততে রড্রির গোলই যথেষ্ঠ ছিল। ম্যাচ শেষে রড্রি ব্রিটিশ ব্রডকাস্টার বিটি স্পোর্টকে বলেছেন, ‘এটা মোটেই সহজ ছিলনা। আমরা যে দলটির মোকাবেলা করেছি তারা আজ যা খেলেছে তা অবিশ্বাস্য।’

গত ছয় মৌসুমে পঞ্চম প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জয় করা সিটি এর আগে এফএ কাপ জয় করে ১৯৯৯ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পর দ্বিতীয় ক্লাব হিসেবে ট্রেবল জয়ের দ্বারপ্রান্তে ছিল।

২৪ বছর আগে এই একই মাসে সিটি পেনাল্টিতে গিলিংহ্যামের বিরুদ্ধে ইংলিশ তৃতীয় টায়ারের প্লে-অফের ফাইনালে জয়ী হয়েছিল। আর এখন ইংল্যান্ডের সবচেয়ে প্রভাবশালী দল হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। শেষ পর্যন্ত ইউরোপীয়ান ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে বড় পুরস্কারটাও অর্জনের খাতায় যোগ হলো। দুই বছর আগে প্রথম ফাইনালে চেলসির কাছে পরাজিত হয়ে হতাশ হয়েছিল পেপ গার্দিওলার দল।

রড্রি আরো বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা ইতিহাস রচনা করেছি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমরা আরো ক্ষুধার্ত। আমাদের জয়ের নেশা শেষ হয়ে যায়নি। এই চ্যাম্পিয়নশীপ আমাদের চাহিদাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।’

ম্যাচটি উপভোগের জন্য কাল তুরষ্কের স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন সিটি মালিক শেখ মানসুর। যাকে সিটির ম্যাচে খুব একটা মাঠে দেখা যায়না। ২০০৮ সালে ক্লাবের মালিকানা পরিবর্তনের পর থেকেই মূলত সিটির পুনরুত্থান শুরু হয়েছে।

বার্সেলোনার হয়ে গার্দিওলা শেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ট্রফি জিতেছিলেন ১২ বছর আগে। তিনবার এই শিরোপা জিতে গার্দিওলা কোচদের এলিট ক্লাবে যোগ দিলেন।

আরবি লিপজিগ, বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদকে পিছনে ফেলে ফাইনাল নিশ্চিত করা সিটির জন্য ইন্টারের মোকাবেলা করা মোটেই সহজ ছিল না। ফেডেরিকো ডিমারকো ও বদলী স্ট্রাইকার রোমেলু লুকাকু ইন্টারের হয়ে সমতা প্রায় এনেই দিয়েছিলেন।

চতুর্থবারের মত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা স্বপ্নে মাঠে নেমেছিল ইন্টার। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন শেষ পর্যন্ত পূরণ হয়নি। কিন্তু আগামী মৌসুমে আবারো নিজেদের শক্তিমত্তার প্রমান দিতে চায় সিমোন ইনজাগির দল। ম্যাচ শেষে ইনজাগি বলেছেন, ‘এই পরাজয় আমাদের প্রাপ্য ছিলনা। অবশ্যই আমরা শীর্ষ সারির একটি দলের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিলাম। কিন্তু ইন্টারও দারুন একটি ফাইনাল খেলেছে।

আতাতুর্ক অলিম্পিক স্টেডিয়ামে সর্বশেষ ২০০৫ সালে লিভারপুল বনাম এসি মিলানের মধ্যকার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালটি যে নাটকীয়তা উপহার দিয়েছিল তা অবশ্য কাল হয়নি। ঐ ম্যাচটি নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় ৩-৩ গোলে ড্র থাকার পর পেনাল্টিতে লিভারপুল জয়ী হয়েছিল। তবে স্বস্তির বিষয় হচ্ছে কোন ধরনের গুরুতর কোন ঘটনা ছাড়াই কাল ম্যাচটি শেষ হয়েছে। এক বছর আগে প্যারিসের স্তাদে ডি ফ্রান্সের ফাইনালের অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর ছিলনা।

কাল সিটির রক্ষনভাগে কাইল ওয়াকারের স্থানে মূল দলে খেলেছেন নাথান এ্যাকে। প্রথমার্ধে অবশ্য ইতালিয়ান জায়ান্টরাই আধিপত্য দেখিয়েছে। সিটির রক্ষনভাগকে তারা বারবার বিপদে ফেলেছে। অবশ্য সিটিও ছেড়ে কথা বলেনি। ডি ব্রুইনার বাড়ানো একটি পাসে হালান্ডের শট দারুন ভাবে রুখে দেন মিলান গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা। ৩৬ মিনিটে ডি ব্রুইনা ইনজুরিতে পড়ে মাঠত্যাগ করলে সিটি শিবিরে অস্বস্তি দেখা দেয়। বেলজিয়ান এই তারকার স্থানে মাঠে নামেন ফিল ফোডেন। ডি ব্রুইনার মাঠ ত্যাগে ম্যাচটি ইন্টারের জন্য অনেকটাই উন্মুক্ত হয়ে যায়। সিলভার একটি ভুলে লটারো মার্টিনেজ ইন্টারকে এগিয়ে দেবার সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। ৬৮ মিনিটে ম্যানুয়েল আকাঞ্জির পাসে সিলভার কাট ব্যাকে রড্রি অবশ্য কোন ভুল করেননি। কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্নের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত গোল করা স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডারের এটা এবারের আসরের দ্বিতীয় গোল। এক গোলে পিছিয়ে থাকা ইন্টার এরপর অনেকটাই ছন্দ হারিয়ে ফেলে। ডিমারকোর হেড বারে না লাগলে সাথে সাথেই হয়তো সমতা ফেরাতে পারতো ইন্টার। ৮৮ মিনিটে লুকাকুর শট রুখে দিয়ে এডারসন সিটিকে শিরোপা উপহারে সহায়তা করেছেন।

সাম্প্রতিক সময়ে শিরোপার খুব কাছে এসেও ব্যর্থ সিটিজেনরা শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বহুল আকাঙ্খিত ট্রফিটি হাতে তুলে নিতে পেরেছে, কাল তুরষ্কের মাটিতে এটাই ছিল সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।