চেন্নাই সুপার কিংসের সবশেষ ম্যাচে খেলেননি মুস্তাফিজুর রহমান। তার দলও সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে হেরেছে বড় ব্যবধানে। ভিসা সংক্রান্ত কাজে দেশে ফিরেছিলেন মুস্তাফিজ। তবে সেই কাজ শেষে একদিন আগেই ভারতে গেছেন টাইগার পেসার। শুধু তাই নয়, কলকাতার বিপক্ষে একাদশে নামানো হয় কাটার মাস্টারকে।
একাদশে জায়গা পেয়েই আলো ছড়ালেন দ্য ফিজ। দুর্দান্ত বোলিংয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সের আন্দ্রে রাসেলের মতো ব্যাটারকেও নাকানি চুবানি খাওয়ালেন, আউট করলেন কলকাতার অধিনায়ক শ্রেয়াস আয়ারকেও। মুস্তাফিজ আর রবীন্দ্র জাদেজার দারুণ বোলিংয়েই ৯ উইকেটে ১৩৭ রানেই আটকে গেছে কলকাতা। আসরে তৃতীয় জয় পেতে চেন্নাইয়ের দরকার ১৩৮।
সোমবার (৮ এপ্রিল) ঘরের মাঠে চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানান চেন্নাই অধিনায়ক রুতুুরাজ গায়কোয়াড়। টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারে তুষার দেশপান্ডে কলকাতা ওপেনার ফিল সল্টের (০) উইকেট তুলে নিয়ে দেন খরচ করেন মাত্র এক রান।
দ্বিতীয় ওভারেই মুস্তাফিজকে আক্রমণে নিয়ে আসেন চেন্নাই অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়। ওই ওভারে মুস্তফিজ তিনটি ডট, একটি বাউন্ডারিসহ দেন মোটে ৬ রান। পাওয়ার প্লের শেষ অর্থাৎ ষষ্ঠ ওভারে আবারও বোলিং পান মুস্তাফিজ। এবার প্রথম বলেই বাউন্ডারি হজম করলেও চারটি ডটসহ মাত্র ৬ রান খরচ করেন। প্রথম দুই ওভারে কাটার মাস্টারের খরচ ১২।
মাঝের ওভারগুলোতে রবীন্দ্র জাদেজা দারুণ বোলিং করে কলকাতাকে আটকে দেন। ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেন এই বাঁহাতি স্পিনার। জাদেজা আউট করেন অংকৃষ রাঘুবানসি (১৮ বলে ২৪), সুনিল নারিন (২০ বলে ২৭) আর ভেঙ্কটেশ আয়ারকে (৩)। ৮৫ রানে ৫ উইকেট হারায় কলকাতা।
১৮তম ওভারে মুস্তাফিজ বল হাতে নিয়েই পড়েন আন্দ্রে রাসেলের সামনে। শঙ্কা ছিল কি না কী হবে! তবে আন্দ্রে রাসেলকে রুখে দেন মুস্তাফিজ। চারটি ডট দেন। চতুর্থ বলে তো ক্যাচই দিয়েছিলেন রাসেল। কিন্তু মহেন্দ্র সিং ধোনি সেই ক্যাচ গ্লাভসবন্দী করতে পারেননি। রাসেল তো একের পর এক বল মিস করে হতাশায় মাটিতেই বসে পড়েছিলেন।
ওই ওভারে আবার একটি নো-বল করেন মুস্তাফিজ। ফ্রি হিট বলটি করেন ওয়াইড, পরের বলে একের বেশি নিতে পারেননি রাসেল। সবমিলিয়ে ওই ওভারে ৯ রান দেন মুস্তাফিজ। ৩ ওভারে দেন ২১।
পরের ওভারে তুষার দেশপান্ডে তুলে নেন আন্দ্রে রাসেলকে। ১০ বলে মাত্র ১০ করতে পারেন ব্যাট হাতে ধুঁকতে থাকা ক্যারিবীয় এই হার্ডহিটার। শেষ ওভারে বল হাতে নিয়ে প্রথম বলেই কলকাতার শেষ ভরসা অধিনায়ক শ্রেয়াস আয়ারকে সাজঘরে ফেরান মুস্তাফিজ। তুলে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে রবীন্দ্র জাদেজার রানিং ক্যাচ হন আয়ার (৩২ বলে ৩৪)।
পরের দুই বলে ডট দেন মুস্তাফিজ। চতুর্থ বলে আরও এক উইকেট। এবার ছক্কা মারতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ধরা মিচেল স্টার্ক। পরের দুই বলে দুটি সিঙ্গেলস। ওভারে ২ উইকেট নিয়ে মুস্তাফিজের খরচ মাত্র ২ রান। সবমিলিয়ে ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ২ উইকেট।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।