বাংলাদেশ টি-২০ সিরিজটি ৩-০ ব্যবধানে জিতেছিল। কিন্তু নিজেদের প্রিয় ফরম্যাট ওয়াডেতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেনি। আফগানিস্তানের কাছে তিন ম্যাচের সিরিজে হয়েছে হোয়াইটওয়াশ। ভয়াবহ ব্যাপার হলো, এই তিন ম্যাচের কোনোটিতেই ৫০ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করতে পারেনি তারা। শেষ ম্যাচটিতে তো হয়েছে ৯৩ রানে অলআউট।
সিরিজজুড়ে বাংলাদেশকে ধসিয়ে দেওয়ার মূল কাজটা করেছেন রশিদ খান। ৩ ম্যাচের সিরিজে একটি ফাইফারসহ মোট ১১টি উইকেট নিয়েছেন। এই পারফরম্যান্স দিয়ে আইসিসির ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর বোলার হয়েছেন তিনি। পাঁচ ধাপ উন্নতি হয়েছে তার, এখন রেটিং পয়েন্ট ৭১০। রশিদের উন্নতি হওয়ায় এক ধাপ করে অবনতি হয়ে কেশভ মহারাজ দুই, মহেশ থিকশানা তিন, জফরা আর্চার চার, কুলদীপ যাদব পাঁচ ও বার্নার্ড স্কোলজ ছয়ে নেমেছেন।
রশিদ দখলে নিয়েছেন ওয়ানডের শীর্ষ বোলারের জায়গা, তার সতীর্থ আজমতউল্লাহ ওমরজাই অলরাউন্ডারদের। ৩৩৪ রেটিং পয়েন্টওয়ালা ওমরজাইয়ের এক ধাপ উন্নতি হওয়ায় দুইয়ে নেমেছেন সিকান্দার রাজা। ওমরজাই বাংলাদেশ সিরিজে ৬০ রান করার পাশাপাশি বল হাতে নিয়েছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭ উইকেট।
তিন ম্যাচের সিরিজে সর্বোচ্চ রান করেছেন ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান। সর্বোচ্চ ৯৫-সহ ৭১ গড়ে তিনি করেছেন ২১৩ রান। এই পারফরম্যান্স ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে তাকে ৮ ধাপ এগিয়ে দিয়েছে। ইব্রাহিম চলে এসেছেন দুইয়ে, আগের মতোই শীর্ষে আছেন ভারতের শুভমান গিল।
হোয়াইটওয়াশের সিরিজ শেষে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে তানভীর ইসলাম ২৭ ও তানজিম সাকিব ২৪ ধাপ এগিয়েছেন। সাকিব অবস্থান করছেন ৬৭ নম্বরে, তানভীর ৯৭-এ। তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ; এদের সবার অবনতি হয়েছে।
ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে তাওহীদ হৃদয় ৭ ধাপ এগিয়েছেন, নাজমুল হোসেন শান্ত পিছিয়েছেন ১২ ধাপ। তারা যথাক্রমে ৪২ ও ৪৩ নম্বরে রয়েছেন। মেহেদী হাসান মিরাজ এগিয়েছেন ৫ ধাপ। জাকের আলী ১৭, লিটন দাস ৮, সৌম্য সরকার ৭, তানজিদ হাসান ৯ ধাপ পিছিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।

