খেলোয়াড়ি জীবনে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে নেতৃত্ব দেওয়া খালেদ মাহমুদ সুজন অবসরের পরও আছেন ক্রিকেটের সঙ্গে। কোচিং পেশায় নিজেকে জড়িয়েছেন। চলতি বিপিএলেও কাজ করছেন দুর্দান্ত ঢাকার কোচ হিসেবে। জাতীয় দলের ম্যানেজারের ভূমিকাও পালন করেছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক সুজন পালন করছেন ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্বও। অথচ এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও সুজন জানতে পারেননি- কারা থাকছেন জাতীয় দলের নতুন নির্বাচক প্যানেলে।
ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ার পরও নির্বাচক বাছাইয়ে খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গে কোনো আলাপ করা হয়নি। এমনটাই দাবি করা হয়েছে তার পক্ষ থেকে। আর এই বিষয়টি খুব একটা ভালোভাবে নেননি জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। ক্রিকেট অপারেশন্সের ভাইস চেয়ারম্যান পদে তার থাকার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিসিবির পক্ষ থেকে নতুন নির্বাচক প্যানেলের নাম ঘোষণা করা হয়। সাবেক অধিনায়ক গাজী আশপরাফ হোসেন লিপুকে প্রধান নির্বাচক করে হান্নান সরকার ও আব্দুর রাজ্জাককে নিয়ে নতুন নির্বাচক প্যানেল ঘোষণা করা হয়। জালাল ইউনুসের নেতৃত্বাধীন ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটিই নির্বাচক প্যানেল নিয়োগের কাজটি করেছে। অথচ সেই কমিটিতে থেকেও কিছুই জানতে পারেননি সুজন।
বিস্মিত সুজন বলেন, ‘আমি তো ক্লিয়ার করলাম আমি জানি না কিছু। আমি ক্রিকেট অপারেশন্সের ভাইস চেয়ারম্যান আমি জানিই না, ক্রিকেট অপারেশন্স সিলেক্টর নিচ্ছে, কে হচ্ছে। খুবই অবাক করার মতো। আমার এই পজিশনে থাকার প্রয়োজন কি সেটাও জানি না আসলে।’
লিপুর নিয়োগ পাওয়াটা তার কাছে সারপ্রাইজ ছিল দাবি করে সুজন বলেন, ‘উনার ক্রিকেট মেধা, বিচক্ষণতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকতে পারে না, দ্বিমত থাকতে পারে না। তবে আমার জন্য খুবই সারপ্রাইজিং ছিল। আমি নামটা শুনিনি। বাতাসে অনেক নামই ভাসছিল, গুঞ্জন ছিল। আমার জন্য অবাক করা কারণ আমি ক্রিকেট অপারেশন্সের ভাইস চেয়ারম্যান অথচ আমি জানিই না। এটা আমার খুব অবাক লাগল।’
তবে প্রধান নির্বাচক হিসেবে এই সাবেক অধিনায়কের নিয়োগে কোনো ক্ষোভ নেই সুজনের। বরং বিসিবির এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন তিনি। সুজন বলেন, ‘লিপু ভাইয়ের অনেক ক্রিকেট মেধা। আমাদের অনেক সিনিয়র। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে অনেকদিন ধরে দেখছেন। জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন, আবাহনীর অধিনায়ক ছিলেন। উনাকে নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকতে পারে না। উনি আসাতে ভালো হতে পারে। নির্বাচক হতে পারেন বা এমন কিছু আমি আগে শুনিনি। খুবই চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত এসেছে বিসিবি থেকে।’
এক সময় ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান ও পরিচালকের দায়িত্বে থাকলেও দীর্ঘদিন ধরেই বিসিবি থেকে দূরে ছিলেন লিপু। তার এই দূরে থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও বিষয়টিকে সমস্যা মনে করেন না সুজন, ‘ক্রিকেট যিনি খেলেছেন তার ক্রিকেটজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তোলা তো অস্বাভাবিক। অধিনায়কত্ব করেছেন, এত বছর ধরে ক্রিকেটের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মাঝখানে বড় গ্যাপ আছে। টিভিতে আমরা সবাই কথা বলতেই পারি। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে কী হচ্ছে, প্রিমিয়ার লিগ বা বয়সভিত্তিক ক্রিকেট… তবে আমার মনে হয় না এটা উনার জন্য খুব একটা কঠিন হবে। মানিয়ে নিতে বেশি সময় লাগবে না।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।