ঢাকাSaturday , 20 April 2024
  1. অলিম্পিক এসোসিয়েশন
  2. অ্যাথলেটিক
  3. আইপিএল
  4. আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আরচারি
  7. এশিয়া কাপ
  8. এশিয়ান গেমস
  9. এসএ গেমস
  10. কমন ওয়েলথ গেমস
  11. কাবাডি
  12. কুস্তি
  13. ক্রিকেট
  14. টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
  15. টেনিস

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ফিরে স্মৃতিকাতর নাফিস

Sahab Uddin
April 20, 2024 5:40 pm
Link Copied!

প্রায় দুই দশক বাদে আবারও বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ফেরার রোমাঞ্চ ছুঁয়ে গেছে সাবেক থেকে শুরু করে বর্তমান ক্রিকেটারদের। অঙ্কুরে ফিরে টাইগার সাবেক অধিনায়ক শাহরিয়ার নাফিস যেন ফিরে গেলেন নিজ ক্যারিয়ারের প্রারম্ভে। মনে করিয়ে দিলেন এদেশের ক্রিকেট উত্থানে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের অবদান।
স্মৃতিপটে জমা কত কথা। কত ইতিহাস, কত আবেগ। বহু আগেই ব্যডপ্যাড তুলে রাখা দুই নাফিস এখন বিসিবি কর্মকর্তা। তবে অঙ্কুরে ফিরে আবেগাপ্লুত দুজনেই।

৩১ জানুয়ারি ২০০৫। সবশেষ যে বার এই মাঠেই গড়িয়েছিল ২২ গজের কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ। এই দলের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য নাহিদ রানা হয়তো তখন কেবল হাঁটতে শিখেছেন। তবুও তীর্থভূমি নিয়ে দুচোখে তার আলাদা রোমাঞ্চ। জাতীয় দলের ম্যানেজার নাফিস ইকবাল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে টেস্ট আর ওয়ানডে মিলিয়ে খেলেছেন ১১টা ম্যাচ। মুশফিকুর রহিম খেলেছেন বয়সভিত্তিক ক্রিকেট।

এদিক থেকে অবশ্য ব্যতিক্রম মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টাইগার স্কোয়াডের একমাত্র সদস্য তিনি যার জাতীয় দলের জার্সিতে না হলেও অভিজ্ঞতা আছে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলার। প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলা হয়েছে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স ম্যানেজার ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক শাহরিয়ার নাফিসেরও। মনে করিয়ে দিলেন এই মাঠ কেন দেশের ক্রিকেট এতটা গুরুত্বপূর্ণ।

গণমাধ্যমকে নাফিস বলেন, ‘যারা একদন নতুন প্রজন্ম তারা হয়তো এ মাঠে খেলেনি। কিন্তু সব সময় এ মাঠের কথা শুনেছে। যখন একদম ছোট ছিল, অল্প কিছু খেলা দেখেছেও। এখনতো আমাদের জাতীয় দলে এমন কিছু ক্রিকেটার আছে, যার জন্ম ২০০০ সালের কাছাকাছি সময়ে। তাদের মনে থাকার কথা না। কিন্তু আইকনিক স্টেডিয়ামের কথা তো সবাই মনে রাখে বা গল্প শুনেছে এবং তারা অনেক উৎফুল্ল।’

মিনি ওয়ার্ল্ড কাপ, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ, এশিয়া কাপসহ কতশত রোমাঞ্চের সাক্ষী বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম। টাইগাররা প্রথমবারের মতো ভারতে হারিয়েছিল এই মাঠেই। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে নাফিসের প্রথম শতকটাও এই মাঠে সেই ভারতেরই বিপক্ষে।

স্মৃতি রোমন্থন করে নাফিস বলেন, ‘অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়েছিলাম। এরপর বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগে একটা প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য ডাকা হয়। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ ছিল। তবে ম্যাচ নিয়ে তেমন কোনো পরিকল্পনা ছিল না যে ভালো করতে হবে। এসেছিলাম, খেলেছিলাম। এ ইনিংসটা যে জীবনে এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে বুঝতে পারিনি। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে প্রতিটি ইঞ্চি ইতিহাস বহন করে। আমাদের প্রজন্মের সব খেলোয়াড়ই, শুধু ক্রিকেটাররা না, ফুটবলার থেকে সবাই, এ মাঠের কথাই বলবে।’

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ১৯৫৫ থেকে ২০০৫। অর্ধশত বছরে মাঠে গড়িয়েছে ১৭ টেস্ট আর ৫৮ ওয়ানডে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।