গত দুই-তিন বছর মোহামেডানেই ছিলেন বাঁহাতি পেসার রুয়েল মিয়া। চলতি বছর দলবদলে এ তরুণ বাঁহাতি পেসারকে ছেড়ে দিয়েছে মোহামেডান। আর প্রিমিয়ার লিগে সেই রুয়েল মিয়ার বোলিংয়ের কাছেই হেরে গেল মোহামেডান।
আজ সোমবার ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে সাদাকালোদের মাত্র ৩ রানে হারিয়ে চমক দেখালো গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।
পুঁজি বেশি ছিল না। প্রথমে ব্যাট করে আনিসুল ইসলাম ইমনের ৭১ রানের পরও ১৯১ রানেই অলআউট হয়েছিল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। সেই কম পুঁজি নিয়েও রুয়েল মিয়ার দুর্দান্ত পেস বোলিংয়ের মুখে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে মোহামেডান।
৩২ রানে মোহামেডানের পাঁচ-পাঁচজন ব্যাটারকে আউট করে গাজী গ্রুপকে জয়ের পথ দেখান রুয়েল মিয়া। প্রথম স্পেলে তিন টপঅর্ডার ইমরুল কায়েস (১৩), রনি তালুকদার (২২) আর রুবেল মিয়াকে (০) ফিরিয়ে মোহামেডানকে পিছনের পায়ে ঠেলে দেন রুয়েল মিয়া। পরের স্পেলে তার শিকার হন নাসুম আহমেদ আর নাইম হাসান।
তারপরও মোহামেডানের জয়ের সম্ভাবনা ছিল। উইকেটকিপার কাম ব্যাটার মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন একাই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। শেষ ওভারে মোহামেডানের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৩ রানে।
গাজী গ্রুপের তরুণ অলরাউন্ডার আনিসুল ইসলাম ইমনের করা ওই ওভারের দ্বিতীয় বলে ডিপ মিডউইকেটের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে আশা জাগান অঙ্কন। তবে তারপর দুই বলে কোনো রান করতে না পেরে পঞ্চম বলে ডাবলস নিতে গিয়ে রানআউট হয়ে যান অঙ্কন (৯৪)। তাতেই শেষ মোহামেডানের সব আশা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স: ৪৭ ওভারে ১৯১/১০ (হাবিবুর রহমান সোহান ০, আনিসুল ইসলাম ইমন ৭১, মেহেদি মারুফ ২, প্রীতম কুমার ১২, আল আমিন জুনিয়র ৩২, মইন খান ২৭, মাহফুজুর রাব্বি ১৩; নাইম হাসান ৩/২৮, আবু হায়দার রনি ২/৩১, মুশফিক হাসান ২/২৮, আসিফ হাসান ২/৩৩, আরিফুল হক ১/৩৪)
মোহামেডান: ৫০ ওভারে ১৮৮/৯ (ইমরুল কায়েস ১৩, রনি তালুকদার ২২, রুবেল মিয়া ০, মাহিদুল ইসলাম অংকন ৯৪, আরিফুল ইসলাম ১২, আরিফুল হক ২৯, আবু হায়দার রনি ৪, নাসুম আহমেদ ৩, নাইম হাসান ৭, মুশফিক হাসান ২ অপরাজিত; রুয়েল মিয়া ৫/৩২, শেখ পারভেজ জীবন ১/৩৫)।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।