মাঠের বাইরে সমালোচিত বিপিএল মাঠের ক্রিকেটে আলোচিত। ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি, দলীয় ডাবল সেঞ্চুরি, সবচেয়ে বেশি ছয়, সবচেয়ে বেশি উইকেট, সেরা ইকোনমি বোলিং-এর রেকর্ড হয়েছে একাদশতম আসরে। তানজিদ তামিম, তাসকিন আহমদে, হাসান মাহমুদরা রেকর্ডবুকে নিজেদের নাম জুড়ে দিয়েছেন।
মাঠের বাইরে সবচেয়ে সমালোচিত বিপিএল। মাঠের ক্রিকেটে একের পর এক রেকর্ড আর ল্যান্ডমার্ক ভেঙে চলেছে। রান উৎসবের টুর্নামেন্টে সেঞ্চুরি বন্যায় টপকে গেছে আগের দশ আসরকে। আট শতক এসেছে ৪২ ম্যাচে। আগে সর্বোচ্চ ছিল ৬টি।
ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে তানজিদ তামিম এক নম্বরে। তবে তাকে টপকে যাবার সুযোগ থাকছে নাঈম শেখের। অন্তত একটি ম্যাচ বেশি খেলবেন তিনি। সেরা পাঁচে আরও চমক। চারজনই বাংলাদেশি। যা হয়নি আগের কোনো আসরে।
এবারের বিপিএলে রান বেড়েছে। তার প্রমাণ দুইশতাধিকের ইনিংস। ১৩টি ডাবল সেঞ্চুরি হয়েছে। যা কিনা আগের সেরার চেয়ে প্রায় দ্বিগুন। ২০২০ সালে হয়েছিল ৮ দলীয় দ্বিশতক।
বেড়েছে ছয়ও। ৬৭১টি বল আছড়ে পড়েছে বাউন্ডারির বাইরে। রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন তানজিদ তামিম। এক আসরে দেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩৬ ছয় তার। টপকে গেছেন গত বছর তাওহীদ হৃদয়ের ২৪ ছয়কে। নাঈম শেখ এবার মেরেছেন ২৬ ছয়। ইয়াসির আলীর ছয় ২৪টি।
শুধু ব্যাটাররা নয়, বোলাররাও গড়েছেন ইতিহাস। তাসকিন আহমেদ পেছনে ফেলেছেন সাকিব আল হাসানকে। এক আসরে সবচেয়ে বেশি উইকেটের রেকর্ড এখন ঢাকা এক্সপ্রেসের। রাজশাহীর হয়ে ২৫ শিকারে টুর্নামেন্ট শেষ করেছেন। আগের সেরা ২৩টি ছিল ২০১৯ সালে ঢাকার হয়ে খেলা সাকিবের।
উইকেট সংগ্রাহকের তালিকায় সেরা পাঁচে আরেক দেশি খালেদ আহমেদ। বাকি সবাই বিদেশি।
আরেক পেসার হাসান মাহমুদ সেরা ইকোনমির রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন। চার ওভারের স্পেল শেষ করা বোলারদের তালিকায় শহিদ আফ্রিদি ও নাহিদুল ইসলামের পাশে তার নাম। যদিও নাহিদ এক উইকেট বেশি নিয়েছিলেন।
আরও চার ম্যাচ বাকি বিপিএল এর। এখন অপেক্ষা আরও অনেক রেকর্ড ভাঙা গড়ার।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।