গ্রুপপর্বে চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়ে প্লে-অফে উঠা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু বাদ পড়ল এলিমিনেটর থেকেই। রাজস্থান রয়্যালস তাদের হারিয়েছে ৪ উইকেটে। ২৪ মে ফাইনালে উঠার লক্ষ্যে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তারা খেলবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে।
বুধবার (২২ মে) শুরুতে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৭২ রান করেছিল বেঙ্গালুরু। জবাবে এক ওভার হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে রাজস্থান। ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেয়া রবিচন্দ্রন অশ্বিন হয়েছেন ম্যাচসেরা।
জস বাটলার দেশে ফেরার পর থেকে যশ্বসী জয়সওয়ালের সঙ্গে রাজস্থানের ইনিংস ওপেন করছেন টম কোহলার ক্যাডমোর। খুব একটা সাফল্য পাচ্ছেন না ইংলিশ এ ক্রিকেটার। বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ১৫ বলে ২০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। দলীয় ৮১ রানে জয়সওয়াল ও ৮৬ রানে সাঞ্জু স্যামসনের উইকেট হারায় রাজস্থান। জয়সওয়াল ৩০ বলে ৪৫ ও স্যামসন ১৭ রান করেন।
ধ্রুব জুরেকলে নিয়ে জয়ের জন্য লড়ছিলেন রিয়ান পরাগ। জুরেল আউট হন দৌড়ে ২ রান নিতে গিয়ে। ৮ বলে ৮ রান করেন তিনি। এরপর শিমরন হেটমায়ার ও পরাগ রাজস্থানের জয়ের ভীত শক্ত করেন। তখন জয় থেকে খুব বেশি দূরে ছিল না তারা। একই ওভারে এ দুজনকে ফিরিয়ে বেঙ্গালুরুকে ম্যাচে ফেরার উপলক্ষ এনে দেন মোহাম্মদ সিরাজ। পরাগ-হেটমায়ারকে শিকারের ওভারে মাত্র ৬ রান খরচ করেন তিনি। পরাগ ২৬ বলে ৩৬ ও হেটমায়ার ১৪ বলে ২৬ রান করেন।
পরের ওভারে রভম্যান পাওয়েল একাই ১৪ রান নিয়ে রাজস্থানকে জয় এনে দেন। লকি ফার্গুসনের করা ওই ওভারের প্রথম দুই বলেই চার হাঁকান ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটার। এরপর একটানা তিন বল ডট, শেষ বলে ছয় হাঁকিয়ে নিশ্চিত করেন জয়। ৮ বলে ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন পাওয়েল। অশ্বিনকে কোনো বলই ফেস করতে হয়নি।
এর আগে রজত পতিদারের ৩৪, বিরাট কোহলির ৩৩, মহিপাল লমরের ৩২, ক্যামেরন গ্রিনের ২৭ ও ডু প্লেসির ১৭ রানে ভর করে ১৭২ রান করে বেঙ্গালুরু। ট্রেন্ট বোল্ট ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। আভেস খান ৩ উইকেট নেন ৪৪ রান দিয়ে। সন্দ্বীপ শর্মা ও যুজবেন্দ্র চাহাল পান ১টি করে উইকেট।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।