মিরপুরের ব্যাটিং উইকেটেও ফুল ফোটালেন তাইজুল ইসলাম। টার্ন খুব একটা ছিলই না। লাইন-লেন্থ ঠিক রেখে গতির বৈচিত্রে তাইজুল পান সাফল্যের দেখা। তাইজুলের উইকেটে শিকারের দিনে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ঠিক মতো বলই করেননি। টেস্ট ক্রিকেটে ক্যারিয়ারে ১১তম ফাইফার নিয়ে আয়ারল্যান্ডকে থামিয়ে দেন তাইজুল ২১৪ রানে।
২২ গজে তাইজুল যে এখনো চির-তরুণ এটা ধরা দেয় তপ্ত রোদে লাইন-লেন্থ ঠিক রেখে টানা বোলিং করে যাওয়া। আজ আইরিশরা খেলে ৭৭.২ ওভার। তাইজুল একাই করেন ২৮ ওভার। সর্বোচ্চ ৫টি উইকেট নেন তিনি। মেডেন দেন ১০টি।
নিজের বোলিং নিয়ে তাইজুলের ভাষ্য, ‘অবশ্যই গতির বৈচিত্র্য জরুরি ছিল। কারণ এখানে টার্ন বেশি ছিল না, উইকেটে বাউন্সটাও ছিল। কোথায় কমফোর্ট, কোথায় কমফোর্ট না, ওই অনুযায়ী পেস ভ্যারিয়েশনটা কাজে লাগিয়েছে।’
শেরে বাংলা স্রটেডিয়ামে, দ্বিতীয় দিনের পর থেকে স্পিনটা বেশি ধরতে থাকে। কিন্তু তাইজুল ফাইফার নিয়েছেন প্রথম দিন প্রথম ইনিংসেই। উইকেট সহায়ক না হলেও এমন সাফল্যে তাইজুলের ভালোলাগা কাজ করেছে। ‘অবশ্যই এটা ভালো লাগার বিষয়। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট। আর উইকেটের যেমন অবস্থা এই রকম উইকেটে পাঁচ উইকেট পাওয়াটা কঠিন হয়। আলহামদুল্লিলাহ যে, পাঁচ উইকেট পেয়েছি।’
তাইজুলের সাফল্যের হার বেশি দেশের মাটিতে। দেশে মাত্র ২৮ টেস্টে তাইজুল নিয়েছেন ১৩৩ উইকেট আর বিদেশে ১৩ ম্যাচে ৩৮ উইকেট। পরিসংখ্যানে স্পষ্ট বিদেশের মাটিতে তাইজুল কার্যকর না যতটা না দেশের মাটিতে। কিন্তু শের-ই-বাংলার উইকেটে আজকের সাফল্যে তাইজুলকে বিদেশের মাটিতে ভালো করার প্রেরণা দিচ্ছে। ‘এই রকম উইকেটে যদি কন্টিনিউ করতে পারি অবশ্যই বিদেশে গেলে আমাদের জন্য সহায়ক হবে।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।