সেমিফাইনাল খেলার লক্ষ্য নিয়ে গেলেও ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ করে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়ে দেশে ফিরেছে সাকিব ব্রিগেড। ৯ ম্যাচের মাত্র দুটিতে জিতেছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে পরাজিত করলেও, হেরেছে দুর্বল নেদারল্যান্ডের কাছেও। দলের এই ভরাডুবির মধ্যেও সবচেয়ে বেশি রান এসেছে প্রায় বাতিলের খাতায় ফেলে দেওয়া মাহমুদুল্লাহর ব্যাট থেকে।
১৯৯৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত সাতটি বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে ৪৯টি ম্যাচের মাত্র ১৬টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। শতকরা সাফল্য ৩২ দশমিক ছয়-পাঁচ ভাগ।
এবারের বিশ্বকাপে, সবচেয়ে অবহেলার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদই বাংলাদেশের পক্ষে সবোচ্চ রান সংগ্রাহক। অথচ তাকে বিশ্বকাপ দলে না নিতে কতো নাটকই না করেছিলো পাপন-সাকিব-হাথুরু গং। বিশ্বকাপের সাত ম্যাচে ৩২৮ রান করেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার পেস আক্রমণে মাথা উচিয়ে দাঁড়িয়ে ১১১ রানের ঝকমকে এক ইনিংসও খেলেন মাহমুদুল্লাহ। অথচ বিশ্বকাপে দলে সুযোগ পাওয়াই অনিশ্চিত ছিল তার। কয়েক মাস ধরে ‘বিশ্রামে’ রাখা মাহমুদুল্লাহকে শেষ মুহূর্তে দলে নেওয়া হয়। অনেক আলোচনা-সমালোচনার মাঝে বিশ্বকাপ খেলতে এসে শেষটা রাঙিয়ে দেন মাহমুদুল্লাহ।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ ছাড়া বাকি ৮ ম্যাচেই একাদশে ছিলেন। প্রথম ম্যাচে আফগানদের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের সুযোগ হয়নি। মোট ৭ ইনিংসে মাহমুদুল্লাহর রান ৩২৮। দলের একমাত্র ব্যাটার হিসেবে ৩০০ রান পার করেন। বল খেলেন ৩৫৮টি, গড় ৫৪.৬৬, স্ট্রাইক রেট ৯১.৬২। চার মারেন ২৮টি, ছক্কা ১৪টি।
এবার একটি-সহ বিশ্বকাপে মাহমুদুল্লাহর সেঞ্চুরি ৩টি। একাধিক বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি করা একমাত্র বাংলাদেশী ক্রিকেটারও তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে চলতি বিশ্বকাপে রান সংগ্রহে দ্বিতীয় স্থানে আছেন লিটন দাস। ৯ ম্যাচে করেন ২৮৪ রান, সর্বোচ্চ ৭৬, গড় ৩১.৫৫। লিটনের পরে আছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, ৯ ম্যাচে তার রান ২২২ রান। এরপরে আছেন মুশফিকুর রহিম, ৯ ম্যাচে করেছেন ২০২ রান। আর মেহেদী হাসান মিরাজ করেন ৯ ম্যাচে ২০১ রান।
সাকিব আল হাসান করেছেন ৭ ম্যাচে ১৮৬ রান, তানজিদ তামিম ৯ ম্যাচে ১৪৫ রান। আর তৌহিদ হৃদয় ৭ ম্যাচে করেছেন ১৬৪ রান।
বাংলাদেশের ব্যর্থতার কারণ হিসেবে টিম হিসেবে খেলতে না পারাটাকেই দায়ী করেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।