ঢাকাTuesday , 24 June 2025
  1. world cup cricket t20
  2. অলিম্পিক এসোসিয়েশন
  3. অ্যাথলেটিক
  4. আইপিএল
  5. আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আরচারি
  8. এশিয়া কাপ
  9. এশিয়ান গেমস
  10. এসএ গেমস
  11. কমন ওয়েলথ গেমস
  12. কাবাডি
  13. কুস্তি
  14. ক্রিকেট
  15. টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

না ফেরার দেশে ভারতের সাবেক স্পিনার

BDKL DESK
June 24, 2025 5:28 pm
Link Copied!

ভারতের সাবেক বাঁহাতি স্পিনার দিলীপ দোশি আর নেই। সোমবার (স্থানীয় সময়) লন্ডনে হৃদযন্ত্রজনিত জটিলতায় ৭৭ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এই ক্রিকেটার। দীর্ঘদিন ধরেই লন্ডনে বসবাস করছিলেন তিনি।

৩৩টি টেস্টে ভারতের হয়ে ১১৪ উইকেট নেওয়া দোশির ঝুলিতে রয়েছে ছয়টি পাঁচ উইকেটের ইনিংস। ওয়ানডেতে ১৫ ম্যাচে ২২ উইকেট নেন তিনি, ইকোনমি ছিল মাত্র ৩.৯৬। সুরাটে জন্ম নেওয়া দোশি ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে সৌরাষ্ট্র ও বেঙ্গলের হয়ে খেলেছেন, আর ইংল্যান্ডে খেলেছেন ওয়ারউইকশায়ার ও নটিংহ্যামশায়ারের হয়ে।

১৯৭০-এর দশকের বিখ্যাত স্পিন চতুষ্টয়ের উত্তরসূরি হিসেবে ৩২ বছর বয়সে টেস্ট অভিষেক হয় দোশির। নটিংহ্যামশায়ারে খেলার সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবদন্তি গারফিল্ড সোবার্সের কাছ থেকেও প্রভাবিত হন তিনি। তবে ১৯৮০-এর দশকে ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসনের সঙ্গে মতানৈক্যের কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে নীরবে বিদায় বলেন এই চিন্তাশীল স্পিনার।

স্পিন পাঞ্চ নামের আত্মজীবনীতে নিজের ক্রিকেটজীবনের অনেক না-বলা কথা তুলে ধরেন দোশি। বইটি পাঠক ও সমালোচকদের কাছ থেকে প্রশংসা পেয়েছে স্পষ্টভাষী ও সাহসী কথনভঙ্গির জন্য।

দোশির মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। বোর্ড সভাপতি রজার বিনি বলেন, “দিলীপ দোশির মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তিনি ছিলেন স্পিন বোলিংয়ের এক নিখুঁত শিল্পী। মাঠে যেমন ভদ্র, মাঠের বাইরেও ছিলেন তেমনি একজন紳্তশীল মানুষ। ভারতীয় ক্রিকেটের প্রতি তার অবদান অনস্বীকার্য। আমরা তার পরিবার, বন্ধু ও ক্রিকেট জগতের সবাইকে আন্তরিক সমবেদনা জানাই।”

১৯৮১ সালে মেলবোর্ন টেস্টে ভারতের ঐতিহাসিক জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন দোশি। ভাঙা আঙুল নিয়ে খেলেই ৫ উইকেট নিয়ে দলের অন্যতম নায়ক হন তিনি। খেলার পর প্রতিদিনই ইলেকট্রোড লাগিয়ে ফুলে যাওয়া পায়ের চিকিৎসা করতেন। ২০০৮ সালে এক সাক্ষাৎকারে দোশি বলেছিলেন, “স্পিন বোলিং মানেই বুদ্ধির খেলা।” তাঁর বোলিংয়ে সেই কৌশল ও পরিপক্বতা ছিল বরাবরই চোখে পড়ার মতো।

ক্রিকেট ছাড়ার পরও খেলাটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন দোশি। ১৯৭৬ সাল থেকে রকস্টার মিক জ্যাগারের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে তাঁর, যিনি প্রায়ই দোশির সঙ্গে ক্রিকেট ম্যাচ উপভোগ করতেন। ভারতীয় ক্রিকেটে যে কয়েকজন ‘অপ্রচলিত নায়কের’ ছাপ রেখে গেছেন, দিলীপ দোশি ছিলেন তাদের একজন। তার বুদ্ধিদীপ্ত স্পিন, নিঃশব্দ প্রতিবাদ ও সৎ কণ্ঠ আজো মনে রাখবে ক্রিকেট বিশ্ব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।