গত মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ করেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) অভিযান চালিয়েছে দুদক। তিনটি অভিযোগ নিয়ে দুদকের একটি দলকে বিসিবি কার্যালয়ে অভিযান চালায়। মুজিব শতবর্ষ উদযাপনে খরচের গরমিল, বিপিএলের তৃতীয় থেকে দশম আসর পর্যন্ত টিকিট বিক্রির হিসাব ও তৃতীয় বিভাগ বাছাই ক্রিকেটে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে দুদক।
দুদকের অভিযান পরিচালনা করার পর এ বিষয়ে আজ বিসিবির সভাপতি ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, দুদকের অনুসন্ধানে সব ধরনের সহায়তা করবে ক্রিকেট বোর্ড।
আজ একটি অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ফারুক বলেন, ‘যেদিন দুদক বিসিবিতে অভিযান চালিয়েছে, সেদিন রাতেই আমি দেশে ফিরি। আমার মনে হয়েছে, তারা কোনো নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এসেছে। কারও পক্ষ থেকে নিশ্চয়ই এমন অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে। বোর্ড হিসেবে আমরা সর্বাত্মকভাবে তাদের সহযোগিতা করব। তারা যেসব নথিপত্র চেয়েছে, আমাদের সিইও ইতিমধ্যে সে বিষয়ে কাজ শুরু করেছে।’
তদন্তে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ফারুক। তিনি বলেন, ‘আমি সিইওকে স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছি তদন্ত কর্মকর্তারা যেন যেকোনো তথ্য বা কাগজপত্র চাইলেই তা দেওয়া হয়। এখনই বলা কঠিন তারা কত দূর অনুসন্ধান চালাবে বা কোথা থেকে কী বেরিয়ে আসবে। তবে তদন্ত চলুক। সত্যি কিছু পাওয়া গেলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।’
এছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটে পাতানো খেলার বিষয়ে ফারুক বলেন, ‘এবার ঘরোয়া ক্রিকেটে পাতানো খেলার প্রবণতা কিছুটা কমেছে। বিশেষ করে তৃতীয়, দ্বিতীয় ও প্রথম বিভাগে। তবে পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। কিছু কিছু দল বাছাই পর্বে দুটি করে দল তুলেছে। কী উদ্দেশ্যে তারা এটা করেছে, তা খতিয়ে দেখা দরকার। এখনো কিছু ম্যাচ বাকি আছে। তদন্ত করে বোঝার চেষ্টা করছি কোথায় কোথায় দুর্নীতি থেকে যেতে পারে।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।