ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এবারের মৌসুমের শুরুটা বেশ ভালোই হয়েছিলো প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের। তবে সবশেষ লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ও গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে হেরে বসে তারা। শেষমেষ টানা দুই ম্যাচ হারের পর জয়ে ফিরলো প্রাইম ব্যাংক। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবকে ৫৫ রানে হারিয়েছে তারা।
আগে ব্যাট করতে নেমে সাব্বির হোসেন, জাকির হাসান, ইরফান শুক্কুর ও শামীম হোসেন পাটওয়ারীর ফিফটিতে ৩০৮ রানের পুঁজি পায় প্রাইম ব্যাংক। লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৫৩ রানের বেশি করতে পারেনি ধানমন্ডি। দলের হয়ে মাহমুদ রাব্বি করেন ৭৯ ও ইয়াসির আলী করেন ৪৬ রান।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ধানমন্ডির। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে হাসানের বলে খালেদ আহমেদের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন হাবিবুর রহমান সোহান। আরেক ওপেনার জাকিরুল আহমেদ জেমকে বোল্ড করে প্যাভিলিয়নে ফেরান সানি। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৯ রান।
৩২ রানে ২ উইকেট হারানোর পর দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন ফজলে মাহমুদ ও ইয়াসির। এই জুটি থেকে আসে ৯৩ রান। ৬৯ বলে ফিফটি তুলে নেন ফজলে মাহমুদ। খালেদ আহমেদের বলে এলবিডব্লিউ-এর ফাঁদে পড়ে ইয়াসির ফিরলে ভাঙে এই জুটি। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৬ রান।
এরপর আর কোনও ব্যাটার বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি উইকেটে। নুরুল হাসান সোহান, মইন খান, জিয়াউর রহমান, আনামুল হক আনামরা ফিরেছেন দ্রুতই। হাসান ও সানির দাপুটে বোলিংয়ে ২৫৩ রানেই অলআউট হয় ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব। প্রাইম ব্যাংকের হাসান ও সানি নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। খালেদ শিকার করেছেন ২ উইকেট।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে আক্রমণাত্মক খেলার আভাস দিয়েছিলেন নাঈম শেখ। তবে বাঁহাতি এই ব্যাটারকে থামান রাব্বি। ডানহাতি এই পেসারের বলে উইকেটের পেছনে সোহানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৮ বলে ৩৭ রান।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন সাব্বির হোসেন ও জাকির হাসান। দুজনেই পেয়েছেন হাফ-সেঞ্চুরির দেখা। তবে ফিফটি তুলে নেয়ার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সাব্বির। হাসান মুরাদের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তার বিদায়ে ভাঙে তাদের ৫৭ রানের জুটি।
চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি শাহাদাত হোসেন দিপু। মইন খানের বলে সোহানকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। আউট হওয়ার আগে করেছেন মাত্র ১৪ রান। নিজের ফিফটি পূরণ করার পর টিকতে পারেননি জাকিরও। মইনের বলে ডিপ মিড উইকেটের উপর দিয়ে খেলতে গিয়ে আনামুলের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ফেরার আগে তিনি করেন ৬৪ রান। আব্দুল্লাহ আল মামুন আউট হয়েছেন দ্রুতই।
এরপর দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন ইরফান শুক্কুর ও শামীম হোসেন পাটোয়ারি। তারা দুজনে মিলে ৯৬ রানের জুটি গড়েন। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৩১ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করেন শামীম। বাঁহাতি এই ব্যাটার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৩৭ বলে ৬২ রানে। আরেক ব্যাটার ইরফান শুক্কুর অপরাজিত থাকেন ৫০ বলে ৫৬ রানে। ধানমন্ডির হয়ে ৩ উইকেট শিকার করেছেন মইন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।