ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ডার্ক লুইস পদ্ধতিতে ৫ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। দ্বিতীয় ম্যাচটি অবশ্য ভেজা আউফফিল্ডের কারণে পরিত্যক্ত হয়ে যায়। তাই তৃতীয় ম্যাচে সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ ছিল স্বাগতিকদের সামনে।
তবে সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার মিশনে আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে প্রত্যাশিত লড়াইটা দেখাতে পারেনি আজিজুল হাকিম তামিমের দল। ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১০২ রানের বড় ব্যবধানে হেরে গেছে স্বাগতিকরা। এই জয়ে সিরিজে ১-১ এ সমতায় ফিরেছে আফগান যুবারা।
বুধবার (৫ নভেম্বর) রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭৫ রান করে সফকারী আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল। জবাবে কালাম সিদ্দিকী ও রিজান হোসেনের জোড়া ফিফটির পরেও ১৭৩ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
২৭৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৪৫ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। রানের খাতা খোলার আগেই আউট হন ওপেনার রিফাত বেগ। আরেক ওপেনার জাওয়াদ আবরার ২৪ বলে ২৫ রান করে ফিরেন প্যাভিলিয়নে। অধিনায়ক তামিম ৩২ বলে করেন ৯ রান।
এরপর জোড়া ফিফটিতে বাংলাদেশকে দলকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন রিজান হোসেন ও কালাম সিদ্দিকী অলিন। চতুর্থ উইকেট জুটিতে তারা দুজনে মিলে ৯৩ রান যোগ করেন। ৫০ বলে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৫২ রান করে রিজান আউট হয়ে গেলে ভেঙে যায় জুটি।
এরপর দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৯ বলে ৭১ রানের ইনিংস খেলেন কালাম সিদ্দিকী। শেষ ৩৫ রানে ৭টি উইকেট হারিয়ে ১০২ রানের বিশাল ব্যবধানে হার মানতে হয় টাইগার যুবাদের। বোলিংয়ে যাইতুল্লাহ শাহিন ৪টি ও ওয়াহিদুল্লাহ জাদরান ৩ উইকেট পান।
এর আগে, টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামা আফগানিস্তানের বড় সংগ্রহ পৌঁছায় ফয়সাল খান ও অধিনায়ক মাহবুব খানের কল্যাণে। ওয়ান ডাউনে নামা ফয়সাল ১০৫ বলে ১৪টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১০০ রানের এক অনবদ্য ইনিংস খেলেন তিনি।
আর শেষদিকে অধিনায়ক মাহবুব খান হাল ধরেন। তার ৭৮ বলে ৬৮ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ২৭৫ পর্যন্ত পৌঁছায়। বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে আল ফাহাদ এবং আজিজুল হাকিম তামিম দুটি করে উইকেট নেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।

