জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টির অঘোষিত সেমিফাইনালে রুদ্ধশ্বাস এক লড়াইয়ে চট্টগ্রাম বিভাগকে শেষ বলে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিলো রংপুর বিভাগ।
সিলেটে শুক্রবার (১০ অক্টোবর) দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে প্রথমে ব্যাট করে সাদিকুর রহমান ও ইয়াসির আলীর অপরাজিত ফিফটিতে ১৬৭ রান সংগ্রহ করেছিল চট্টগ্রাম। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারের শেষ বলে চার হাঁকিয়ে ৪ উইকেটের জয় তুলে নেয় রংপুর।
শেষদিকে ম্যাচ রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতিতে পৌঁছালেও শুরুতে সহজ জয়ের পথেই ছিল রংপুর। জাহিদ জাভেদ ও নাসির হোসেন মিলে ওপেনিং জুটিতেই ৯ ওভারে দলকে ৭৬ রান এনে দেন। ২৮ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩৫ রান করে জাহিদ আউট হলেও ফিফটি তুলে নেন নাসির। ৪১ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৪ রান করে দলীয় ১১৮ রানে বিদায় নেন তিনি। ক্রিজে নেমে এক ঝোড়ো ইনিংস খেলেন আকবর আলী। ২১ বলে ৩ ছক্কা ও ১ চারের মারে ৪০ রান করে ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে আউট হন তিনি। দলের জয় তখন প্রায় নিশ্চিত। শেষ বলে ৯ বলে দরকার মাত্র ৪ রানের, হাতে আছে পাঁচ উইকেট।
কিন্তু বোলার মমিনুল পরবর্তী তিন বলে মাত্র ১ রান দিয়ে আরও একটি উইকেট তুলে নেন। তাতে শেষ ৬ বলে দরকার পড়ে ৩ রানের। কিন্তু সহজ হিসেবটাও কঠিন করে তোলেন চট্টগ্রামের বোলার আশরাফুল হাসান রোহান। প্রথম চার বলে মাত্র ১ রান দেন তিনি। এরপর পঞ্চম বলে ১ রান নিয়ে কোনোরকম স্কোর লেভেল করেন ব্যাটার আলাউদ্দিন বাবু। শেষ বলে রংপুরকে আর হতাশ করেননি মোহাম্মদ নাঈম। চার হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করে পৌঁছে দেন ফাইনালে।
চট্টগ্রামের হয়ে ২টি করে উইকেট তুলে নেন হাসান মুরাদ ও মমিনুল হক। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ রুবেল ও নাঈম হাসান।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান সংগ্রহ করেছিল চট্টগ্রাম। ৪৮ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৫৮ রানে অপরাজিত ছিলেন সাদিকুর। ২৭ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ছিলেন ইয়াসির। এছাড়া ২৭ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলেন মাহমুদুল হাসান জয়। রংপুরের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ এনামুল ও আলাউদ্দিন।
শিরোপার লড়াইয়ে রোববার (১২ অক্টোবর) খুলনা বিভাগের মুখোমুখি হবে রংপুর। প্রথম কোয়ালিফায়ারে চট্টগ্রামকে হারিয়ে আসরের ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল খুলনা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।
