ঢাকা বিভাগ খুব বেশি রান করেনি। সব কটি ওভার খেলে মাত্র ১২৩ রান করেছিল তারা। কম রান হলেও এলিমিনেটরের এই ম্যাচ কম রোমাঞ্চ তৈরি করেনি! ২ উইকেট হাতে নিয়ে শেষ ওভারে রংপুর বিভাগের দরকার হয় ৮ রান। সেট ব্যাটার আকবর আলী প্রথম বলে চার মেরে আউট হয়ে যান।
ফলে শেষ ৪ বলে জয়ের জন্য রংপুরের দরকার পড়ে আরও ৪ রান। লো স্কোরিং ম্যাচে শেষ উইকেট জুটিতে আবু হাসিম ও আবদুল গাফ্ফারের ব্যাটে সেই ৪ রান আসা যে সহজ নয়, তা বলাই বাহুল্য। তৃতীয় বলে গাফ্ফার ও চতুর্থ বলে হাসিম এক রান করে নেন। পঞ্চম বলে চার হাঁকিয়ে এক বল হাতে রেখে রংপুরকে এক উইকেটে জেতান গাফ্ফার।
এই জয়ে ১০ অক্টোবরের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে উঠলো রংপুর। তারা এনসিএলের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন, দলটি এবার নকআউটে উঠার আগে ছিল বাদ পড়ার শঙ্কায়। ঢাকা মহানগরের চেয়ে রানরেটে এগিয়ে থাকায় নকআউটের কপাল খুলে।
সিলেটে রংপুরকে জেতানোর মূল নায়ক আকবর আলী। বাংলাদেশকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক জয় থেকে দলকে ৪ রান দূরে রেখে আউট হওয়ার ইনিংসে করেন ৪৪ রান। ২৭ বলের ইনিংসটি তিনি সাজান ৪টি চার ও একটি ছক্কার মারে। ঢাকার ইনিংসে ২টি ক্যাচ নেওয়া আকবরই হন ম্যাচসেরা।
মাহফুজুর রহমান রাব্বি ও নাজমুল ইসলামের ঘূর্ণিতে ৫২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলা রংপুরের জয়ে নাসুম আহমেদের ২৩ বলে ২৬ রানও ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে দুই অঙ্কের সংখ্যা স্পর্শ করেন অনিক সরকার। ১৩ বলে তিনি করেন ১৬ রান। ঢাকার হয়ে রাব্বি নেন ৩ উইকেট। নাজমুল, রিপন মণ্ডল ও রায়ান রহমানের শিকার ২টি করে।
ঢাকার ১২৩ রানের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের। তার ৩৬ বলে ৬১ রানের ইনিংসের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর তুলেন শুভাগত হোম—১৩ বলে ১৫। রংপুরের হয়ে নাসুম আহমেদ, আবু হাসিম, আলাউদ্দিন বাবু ও নাসির হোসেন নেন ২টি করে উইকেট।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।