নতুন বলে দারুণ বোলিং করেছেন তানজিম হাসান সাকিব। মাঝের ওভারগুলোতে মেহেদি হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেনদের ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয়ে যায় আফগানিস্তানের ব্যাটাররা। একপ্রান্ত আগলে রেখে ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান দলকে টানলেও আরেক প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে তারা। তাতে দুইশর আগেই অলআউট হয়ে গেছে হাসমতউল্লাহ শহীদির দল।
শনিবার (১১ অক্টোবর) আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৪.৫ ওভারে ১৯০ রানে থেমে যায় আফগানিস্তানের ইনিংস। দলের পক্ষে ১৪০ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৯৫ রান করেছেন ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান। বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেছেন অধিনায়ক মিরাজ।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে বেশ বাজেভাবে হেরেছিল বাংলাদেশ। তাতে আফগানদের কাছে টানা তিনটি ওয়ানডে সিরিজ হারের সামনে দাঁড়ায় টাইগাররা। তাই সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে একাদশে দুই পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে লাল-সবুজের দল। আবুধাবির ধীরগতির উইকেট কাজে লাগাতে লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনকে আর বিশ্রাম শেষে একাদশে ফেরানো হয় মুস্তাফিজুর রহমানকে।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলটি লেগ স্টাম্পের ওপর খাটো লেংথে করেছিলেন তানজিম সাকিব। সেখানে পুল করতে গিয়ে ঠিকমতো টাইমিং করতে পারেননি রহমানুল্লাহ গুরবাজ। তাতে ডিপ স্কয়ার লেগে জাকের আলির হাতে ধরা পড়েন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ১১ বলে ১১ রান করেছেন এই ওপেনার।
তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি সেদিকুল্লাহ অতল। তানভির ইসলামকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে তানজিম সাকিবের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ১৩ বল খেলে ৮ রান করেছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। ৩৮ রানে ২ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন ইব্রাহিম জাদরান ও রহমত শাহ।
তবে ১১ বলে ৯ রান করার পর পেশির চোটে পড়ে রিটায়ার্ট হার্ট হয়ে সাজঘরে ফেরেন রহমত। ১৮তম ওভারে এসে উইকেটের দেখা পান মিরাজ। তার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ইনসাইড এজে বোল্ড হয়েছেন হাশমতউল্লাহ শাহিদি। ১২ বল খেলে ৪ রান করেছেন আফগান অধিনায়ক।
পরের ওভারেই উইকেট পেয়েছেন রিশাদ হোসেনও। এই লেগির গুড লেংথের বলে টার্নে পরাস্ত হয়েছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। অফ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বল আজমতউল্লাহর ব্যাটে কানা ছুঁয়ে স্লিপে তানজিদ তামিমের হাতে জমা পড়ে। তাতে ৭৯ রানে ৪ উইকেট হারায় আফগানরা।
সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন নবি ও ইব্রাহিম। অভিজ্ঞ নবি ইতিবাচক শুরু করেছিলেন। তবে ৩০ বল খেলে ২২ রানের বেশি করতে পারেননি। এরপর নাঙ্গেলিয়া খারোতি-রশিদ খানরা দ্রুত ফিরলে আরো একবার চাপে পড়ে আফগানরা।
সেই চাপ আরো বাড়িয়েছেন ইব্রাহিম। সেঞ্চুরির পথে থাকা এই ব্যাটার ফিরেছেন নার্ভাস নাইনটিতে। শেষিকে এএম গাজানফার ১৮ বলে ২২ রান করলেও দুইশ ছুঁতে পারেনি আফগানরা। বাংলাদেশের হয়ে ৪২ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছেন মিরাজ। এ ছাড়া ২টি করে উইকেট পেয়েছেন তানজিম সাকিব ও রিশাদ হোসেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।