বয়সভিত্তিক দল থেকেই মেহেদী হাসান নিরাজকে বাংলাদেশ দলের ভবিষ্যৎ অধিনায়ক হিসেবে ভাবা হতো। তাকে ওই সময় থেকে যারা পরিচর্যা করে আসছিলেন, সেসব কোচরাও বিভিন্ন সময় তার নেতৃত্বের গুণাবলীর প্রশংসা করেছেন। তবে জাতীয় দলে এসে তার ছিটেফোঁটাও দেখাতে পারছেন না মিরাজ। এখন পর্যন্ত মোট ১২টি ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়ে ৯টিতেই হার দেখেছেন। ২ জয়ের বিপরীতে একটি ম্যাচ হয়েছে পরিত্যক্ত।
শক্তির ফরম্যাট ওয়ানডেতে গত প্রায় এক যুগ ধরে দাপট দেখিয়ে আসছে বাংলাদেশ। এই সময়ে কোনো অধিনায়কের নেতৃত্বেই এতটা বাজে পারফরম্যান্স দেখা যায়নি টাইগারদের। তবে এতকিছুর পরেও মিরাজের ওপরই আস্থা রাখছেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তার মতে, মিরাজের মধ্যে যোগ্য অধিনায়ক হওয়ার সব ধরনের গুণাবলী আছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই জানি মিরাজ একজন ক্যাপ্টেন ম্যাটেরিয়াল। ওকে একটু সময় দিতে হবে। খেলায় তো জয়-পরাজয় থাকবেই। অধিনায়কের মধ্যে যে ম্যাচিউরিটি দেখা যায়, বোঝা যায়…সেই পটেনশিয়াল তার মধ্যে আছে।’

নাজমুল হোসেন শান্ত টেস্ট নেতৃত্ব ছাড়ার পর এই ফরম্যাটে নতুন কোনো অধিনায়ক আসেনি। গুঞ্জন উঠেছে, এই ফরম্যাটে অধিনায়ক হওয়ার জন্য শান্তকেই নাকি আবারও প্রস্তাব দিয়েছে বিসিবি। তবে এমন গুঞ্জনকে উড়িয়ে দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে এই বিষয়ে কোনো কথা হয়নি। আমরা ৩–৪ জনের সঙ্গে কথা বলব। যারা ক্রিকেট অপারেশন্সে আছেন তারা কথা বলবেন, যারা নির্বাচক আছেন, কথা বলবেন এবং কোচিং স্টাফদের মধ্যে যারা উচ্চ পর্যায়ে আছেন তারাও কথা বলবেন। তারা যাকে যোগ্য মনে করবেন সে-ই হবে এমন নয়, যে অধিনায়ক হবে তাকেও রাজি থাকতে হবে। তাদের ইচ্ছাগুলো জানব, সেগুলো ক্যাপ্টেন্সির বেঞ্চমার্কের সঙ্গে মেলে কিনা, বিবেচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’
৩ ফরম্যাটে ৩ অধিনায়ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘৩ ফরম্যাটে ৩ অধিনায়ক হতে হবে, এমন কোনো নিয়ম নেই। এর আগে আমরা আলোচনা করেছিলাম সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে। অসুবিধার চেয়ে সুবিধাটাই বেশি। তারপরেও দেখব যারা আছে তাদের মধ্যে সেরা কাজটা কে করতে পারবে। একজন দুইটা করতে পারে, একজন তিনটাও (৩ ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব) করতে পারে। এটা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।’
মিরপুরের পিচ নিয়ে এবারের সিরিজেও সমালোচনা হয়েছে বেশ। প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের এক ক্রিকেটার তো সংবাদ সম্মেলনে হাস্যরসে মেতেছেন পিচ নিয়ে। পিচ প্রসঙ্গে বিসিবি বস বলেন, ‘প্রথম দুটো ম্যাচে যে উইকেট দেখেছিলাম, একটু ধীরগতির ছিল। মিরপুরের মাটিটাই আমার কাছে মনে হচ্ছে একটু ধীর গতির। আগে এই উইকেটটাকে সচল করার জন্য বা পেস বাড়ানোর জন্য কিছু মরা ঘাস দেয়া হতো। এবার মরা ঘাস না দিয়ে যে পরীক্ষাটা করা হয়েছে, সেটাতে দেখলাম উইকেট একটু ধীরগতির ছিল। আজকে যে উইকেটটা দেখলাম, খুব শুকনো ছিল এবং ময়েশ্চার কম ছিল। আমি যেহেতু বিশেষজ্ঞ নই, এর বেশি কিছু বলতে পারব না।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।

