ঢাকাSunday , 10 March 2024
  1. অলিম্পিক এসোসিয়েশন
  2. অ্যাথলেটিক
  3. আইপিএল
  4. আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আরচারি
  7. এশিয়া কাপ
  8. এশিয়ান গেমস
  9. এসএ গেমস
  10. কমন ওয়েলথ গেমস
  11. কাবাডি
  12. কুস্তি
  13. ক্রিকেট
  14. টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
  15. টেনিস

মায়ের আয়ে চলে সংসার, ইয়ারজানকে সাহস দেন বাবা আর কোচ

Sahab Uddin
March 10, 2024 10:37 pm
Link Copied!

টাইব্রেকারে শেষ পেনাল্টিটা ঠেকিয়ে ডিবক্স পার হতে পারেননি ইয়ারজান। তার আগেই মাটিতে শুয়ে পড়েন। তার হাত ধরেই যে অনূর্ধ্ব-১৬ পর্যায়ে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হলো বাংলাদেশের মেয়েরা। নেপালের মাটিতে রচিত হলো বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠত্ব। ইয়ারজান পেলেন সেরা গোলরক্ষকের ট্রফি। নারী দলের সাফল্যের মঞ্চে তাই আলাদা করেই উচ্চারিত হচ্ছে ইয়ারজানের নাম।

টুর্নামেন্ট শেষে ইয়ারজান শোনালেন সংগ্রামের গল্প। বাংলাদেশের প্রান্তিক জেলা পঞ্চগড় থেকে উঠে এসেছেন। সেখান থেকে ঢাকায় ট্রায়াল আর জাতীয় দল। ছোট্ট ক্যারিয়ারে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব পেয়েছেন আজ রোববার। তবে ইয়ারজান জীবনের মঞ্চে জিতে গিয়েছেন আরও আগেই।

বাবা, মা এবং ছোটবোন নিয়েই ইয়ারজানের পরিবার। ছোট্ট এই সংসার নির্ভর করে মায়ের আয়ে। ইয়ারজান জানিয়েছেন, বাবা শ্বাসকষ্টের রোগী। তাই সংসারের দায়িত্ব মায়ের। বাইরে কাজ করেন তিনি। তাতেই চলে চারজনের সংসার।

পঞ্চগড় জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে ফুটবলার হওয়া সহজ ছিল না ইয়ারজানের জন্য। তবে বাবার সমর্থন ছিল শুরু থেকেই। স্কুল পর্যায়ে নিয়মিত খেলতেন। স্কুল শেষ হওয়ার পর্যায়ে এলে খেলা থেকেও সরে যান। তখনই ক্যারিয়ারের বড় সমর্থন পান ইয়ারজান। কোচ আবু তালেব টুকু খুঁজে বের করেন তাকে। নিজের একাডেমিতে খেলার আহ্বান জানালে রাজি হয়ে যান তিনি। বাবার সমর্থনে ভর্তি হন তাতে।

ইয়ারজান জানালেন, কোচকে আমি ভাই বলে ডাকি। তিনি আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন। আমার যাতায়াত ভাড়া ছিল না। তিনি ম্যানেজ করে দিতেন।

জাতীয় দলে আসার পেছনেও কোচের অবদানকেই বড় করে দেখছেন ইয়ারজান। শুরুতে অনেক মানুষের কথা শুনতে হলেও আবু তালেব টুকু হাল ছাড়েননি ইয়ারজানকে নিয়ে। বলতেন, ‘তোমাকে আমি ঢাকায় ন্যাশনাল টিমে নিবো।’ কোচের অবদানের কথা উল্লেখ করে ইয়ারজান বলেন, ‘গ্রামের মানুষ অনেক কথাই বলতো। ওনাকেই অনেক খারাপ কথা বলতো। তিনি বলতেন, তুমি এসব কানে নিবে না। যখন ভাল করবে, দেখবে সবাই বাহবা দিবে।’

বাংলাদেশ জাতীয় দলে এসেছেন বাফুফের ট্রায়ালের মাধ্যমে। যদিও চেয়েছিলেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে খেলতে। তবে বয়স না হওয়ায় জায়গা পেয়েছেন অনূর্ধ্ব-১৬ দলে। সেখান থেকেই নেপালে এসে জিতে নিয়েছেন সেরা গোলরক্ষকের খেতাব। সেরার পুরস্কারটাও বাবা আর কোচকেই উৎসর্গ করেছেন কিশোরী গোলরক্ষক।

ইয়ারজান স্বপ্ন দেখেন জাতীয় দলের হয়ে খেলার। ভবিষ্যৎ লক্ষ্যের কথা জানাতে গিয়ে বলেন, জাতীয় দলের গোলরক্ষক রূপনা চাকমার মতো ভাল একজন গোলরক্ষক হতে চান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।