একজন ভালো মালি, ভালো বৃক্ষ গড়ে তোলে। বাংলাদেশের ক্রিকেটের সে মালি হতে চান মুশতাক আহমেদ। তৃণমূল থেকে ওঠে আসা স্পিনারদের নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী এ পাকিস্তানি কোচ। আর তা সফল করতে বিসিবির সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিতে আগ্রহী তিনি। সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালউদ্দিনের প্রসংশায় পঞ্চমুখ মুশতাক। জাতীয় দলের সঙ্গে স্থানীয় কোচের অন্তর্ভু্ক্তিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এ পাকিস্তানি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টাইগারদের সঙ্গী হননি মুশতাক আহমেদ। তাই সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের সঙ্গে সেসময় পরিচয় হয়নি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ক্যাম্পে প্রথমবার এ লোকাল কোচকে দেখেছেন মুশতাক। সালাউদ্দিনের কোচিং দর্শনে মুগ্ধ এ পাকিস্তানী।
বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ বলেন, সালাউদ্দিনের কমিউনিকেশন ভালো, দারুন এনার্জি। ক্রিকেটার আর হেডকোচের মধ্যে সে সেতু হিসেবে কাজ করে। ক্রিকেটাররা তাকে অনেক সম্মান করে। তার কোচিং মেথডও দারুন। আমি মনে করি কোচিং স্টাফে তার অন্তর্ভুক্তি দারুন কাজে দিচ্ছে।
বিসিবির নতুন কমিটি স্থানীয় কোচদের গুরুত্ব দিচ্ছে। এটাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন মুশতাক আহমেদ। আরেক পাকিস্তানি শাহেদ মেহমুদও বয়সভিত্তিক দলগুলোর স্পিনারদের নিয়ে কাজ করছেন। খুব শিগগিরই বাংলাদেশ আরও আন্তর্জাতিকমানের রিস্ট স্পিনার পাবে বলে আশাবাদী মুশতাক আহমেদ।
মুশতাক আহমেদ বলেন, আন্তর্জাতিক কোচের চাইতে স্থানীয় কোচের ভূমিকা বেশি জরুরি। কিছু বয়সভিত্তিক স্পিনারদের সঙ্গে কাজ করেছি। ১০-১২ জন্য লেগ স্পিনার ও চায়নাম্যান আছে। তারা এখনও ছোট, বীজের মতো। তাদের বৃক্ষে রূপ দিতে হবে। তাদেরকে একটা সিস্টেমে নিয়ে আসতে চাই।
সেক্ষেত্রে বিসিবির সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিতে যেতে হবে মুশতাককে। নিজেও বাংলাদেশে লম্বা সময় কাজ করতে আগ্রহী। জাতীয় দলের বাইরে ক্রিকেট উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চান পাকিস্তানি কোচ।
বাংলাদেশের এ স্পিন বোলিং কোচ বলেন, একটা ভালো বৃক্ষ গড়ে তুলতে হলে ভালো মালির দরকার। আমি সেই মালি হতে চাই। আমাকে বৃক্ষের পেছনে আরও বেশি সময় দিতে হবে।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শেষে বিসিবির সাথে আলোচনায় বসবেন মুশতাক আহমেদ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।