এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাত্তাই পায়নি হংকং। আবুধাবিতে রশিদ খানের দলের কাছে ব্যাটে-বলে বিধ্বস্ত হয়ে হেরেছে ৯৪ রানের বিশাল ব্যবধানে। একই ভেন্যুতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) তাদের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। এই ম্যাচে জয়ে চোখ রাখলেও অনেক বড় চ্যালেঞ্জ পেরোতে হবে বলে মানছেন হংকংয়ের প্রধান কোচ কুশল সিলভা।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ম্যাচের আগের দিন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই লঙ্কান কোচ বলেন, ‘বাংলাদেশ খুব মানসম্পন্ন দল। তাদের ভালো স্পিনার আছে, তাদের ব্যাটিং লাইনআপ বেশ শক্তিশালী। কিন্তু আবারও, আমরা যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি তার উপর আমাদের কাজ করতে হবে এবং পরের খেলায় আমরা যে জিনিসগুলো ভালো করতে পারি সেগুলোর উপর কাজ করতে হবে।’
মূলত টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোকে বেশ সমীহ করছেন হংকংয়ের প্রধান কোচ। আর তাই টেস্ট খেলুড়ে যেকোনো দলের বিপক্ষে জয় পাওয়ার চাইতে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলার দিকেই বেশি নজর তার। এ প্রসঙ্গে কুশল সিলভা বলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের জন্য, অবশ্যই একটি জয় দুর্দান্ত হবে। কিন্তু আবারও, আমাদের জন্য, যতটা সম্ভব এই অভিজ্ঞতা অর্জন করা, প্রতিযোগিতামূলক পর্যায়ে খেলা এবং এই টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিশ্চিত করাটা জরুরি এবং এটা একটি সত্যিই ইতিবাচক জিনিস হবে যা আমরা নিতে পারি, বিশেষ করে যখন আমরা সহযোগী সদস্যদের বিপক্ষে খেলি।’
হংকং কোচের বিশ্বাস, বাংলাদেশের বিপক্ষে জিততে হলে ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিং- এই তিন বিভাগেই ভালো করতে হবে। একই সঙ্গে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান এবং নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টানা তিন সিরিজ জেতা বাংলাদেশের শক্তিমত্তার প্রশংসাও করেছেন এই কোচ।
কুশল আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো টেস্ট খেলুড়ে দলগুলো খুব প্রতিযোগিতামূলক, তারা সেই সমস্ত বিষয়গুলো দেখছে। কিন্তু আমরা যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি তা হলো আমাদের খেলার উপর মনোযোগ দেওয়া এবং পরের খেলা থেকে সেরাটা বের করে আনার চেষ্টা করা। আমরা খুব বেশি দূরের কথা ভাবছি না। অবশ্যই, বাংলাদেশ একটি খুব মানসম্পন্ন দল। তাই আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে আমরা মানসম্পন্ন ক্রিকেট খেলি এবং তিনটি বিভাগেই ভালো করি এবং দেখি আমরা কোথায় শেষ করি।’
এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জেতার মতো কোনো আবহই সৃষ্টি করতে পারেনি হংকং। আফগানদের ১৮৮ রানের জবাব দিতে নেমে ৯ উইকেটে ৯৪ রানে থামে হংকং। সবশেষ ম্যাচে নিজেদের হার নিয়ে কুশল বলেন, ‘আমাদের ছেলেদের জন্য একটি দারুণ অভিজ্ঞতা ছিল, বিশেষ করে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর সঙ্গে ফ্লাডলাইটের নিচে খেলা। হ্যাঁ, দিনটা আমাদের সেরা ছিল না। আমার মতে, আমরা আমাদের ‘এ’ গেম খেলতে পারিনি। বাংলাদেশের বিপক্ষে আমাদের প্রথম বল থেকে শুরু করতে হবে।’
‘আমি মনে করি বিশেষ করে যখন আপনি একটি টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে খেলছেন, তখন এটা কঠিন। এখানে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। অবশ্যই ছোট ভেন্যুতে খেলার চেয়ে ফ্লাডলাইটের নিচে খেলার মাধ্যমে আরও বেশি অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়। কিন্তু এটা আমাদের জন্য কোনো অজুহাত হতে পারে না কারণ আমরা যদি এগিয়ে যেতে চাই, তাহলে আমাদের এই বিষয়গুলোতে অভ্যস্ত হতে হবে।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।