অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়াটাই বৈশ্বিক আসরে বাংলাদেশ ক্রিকেটে একমাত্র প্রাপ্তি। ২০২০ সালে যুব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল আকবর আলীর নেতৃত্বাধীন দল। সবশেষ দুই যুব এশিয়া কাপেও শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। কিন্তু ছেলেদের জাতীয় দলের ক্যাবিনেটটা একেবারে শূন্য। বিশ্বকাপ তো দূরে থাক, তিন তিনবার এশিয়া কাপ ফাইনালে উঠেও শিরোপা জিততে পারেনি বাংলাদেশ।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর গুলশান ইয়ুথ ক্লাবে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। সেখানে দেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলেছেন তিনি। জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়কের আশা, বাংলাদেশ পুরুষ ক্রিকেট দলের আগেই বাংলাদেশের মেয়েরা বিশ্বকাপ জিতবে।
বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘ছেলেদের ক্রিকেট অবশ্যই ভালো করবে। তবে আমার মনে হয় ছেলেদের আগে মেয়েরা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হবে। চলমান বিশ্বকাপে ছোট ছোট ভুল না করলে হয়তো আমাদের আজকে পাঁচটা জয় হতো, সেমিফাইনাল খেলার মতো একটা দল হতে পারতাম। আমরা ভুল থেকে শিখছি। আমরা আপনাদের নিরাশ করব না।’
চলমান নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে কেবল ১ ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবলের তলানিতে আছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের মঞ্চে যে পাঁচ ম্যাচ হেরেছে টাইগ্রেসরা, সেগুলোর মধ্যে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু কিছু ভুলের খেসারত দিয়ে সেমিফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে গেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
অবশ্য দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বমঞ্চে খেলতে গিয়ে এবার বেশ চমক উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ দল। প্রথম ম্যাচেই পাকিস্তানকে হারানোর পর দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলকে চোখ রাঙিয়েছে টাইগ্রেসরা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রায় জেতা ম্যাচ হাতছাড়া হয়েছে। কাছে গিয়ে হারা ম্যাচগুলো হাতছাড়া না করলে এবারের টুর্নামেন্টেই সেমিফাইনাল খেলার সুযোগ ছিল নিগারদের।
বিসিবি সভাপতি নারী ক্রিকেটে উন্নতির পাশাপাশি বাংলাদেশ ক্রিকেটের সামগ্রিক উন্নতির ওয়াদা করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘আমাদের ওপর বিশ্বাস রাখেন, আমরা বাংলাদেশ ক্রিকেটকে এমন উচ্চতায় নিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ, যাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে গর্ব করতে পারি। বাংলাদেশে আমরা শুধু ক্রিকেটার তৈরি করব না, আমরা ক্রিকেটের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভালো নাগরিক তৈরি করব।’
আইসিসির এলিট প্যানেলে বাংলাদেশের একমাত্র আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। আইসিসি ইভেন্ট তো বটেই, ভারত-ইংল্যান্ড, ভারত-অস্ট্রেলিয়ার মতো সিরিজেও আম্পায়ারিং করেছেন। সৈকতের মতো আম্পায়ার তৈরি হওয়ার পেছনে বুলবুল কৃতিত্ব দিয়েছেন ইফতেখার রহমান মিঠুকে। বর্তমানে মিঠু বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন।
মিঠু প্রসঙ্গে বুলবুল বলেন, ‘এখানে আছেন ইফতেখার রহমান মিঠু। বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় স্তম্ভ। তার সময়ে একজন এলিট আম্পায়ার হয়েছেন। আমাদের ছয় আম্পায়ার, যাঁদের মধ্যে আছেন তিন আম্পায়ার। তারা আইসিসির প্যানেলভুক্ত আম্পায়ার।’
এ ছাড়াও বিসিবি সভাপতি জেলা, উপজেলায় ক্রিকেট ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি সেরা প্রতিভাগুলো বয়সভিত্তিক দল ও জাতীয় দলে নিয়ে আসবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।

