শেষ ওভারে ৩ ছক্কা ও ৩ চার মেরে টানা ৬ বলে বাউন্ডারি দিয়ে রংপুর রাইডার্সকে নাটকীয় জয় এনে দিয়েছেন নুরুল হাসান। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের এই ম্যাচটি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত রোমাঞ্চকর ছিল। তবে ম্যাচের ১৯তম ওভারে ঘটে যায় বিতর্কিত এক ঘটনা।
রংপুরের মাহেদী হাসান ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ নিয়মে আউট হন। তবে এই অপরাধের সূত্রপাত করেন নুরুল হাসান নিজেই। জাহানদাদ খানের বলে ক্যাচ তুলেছিলেন মাহেদী। বরিশালের পেসার জাহানদাদ সেই ক্যাচ ধরার চেষ্টা করলে নুরুল বাধা দেন। নুরুল নন-স্ট্রাইক থেকে রান নেয়ার জন্য সামনে এগিয়ে আসেন এবং তার বাধার কারণে জাহানদাদ ক্যাচ নিতে ব্যর্থ হন।
এরপর মাঠের দুই আম্পায়ার প্রথমে নিশ্চিত হতে পারেননি ঘটনাটি সম্পর্কে। বিষয়টি যাচাই করতে তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য নেয়া হয়। তৃতীয় আম্পায়ার তানভীর আহমেদ নিশ্চিত করেন যে, নুরুল ফিল্ডিংয়ে বাধা দিয়েছেন। কিন্তু এই ধরনের ঘটনায় আইনের প্রয়োগে স্ট্রাইকে থাকা ব্যাটসম্যানকেই আউট হিসেবে গণ্য করা হয়।
মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) আইনের ৩৭.৩ ধারায় স্পষ্টভাবে বলা আছে, যদি কোনো ব্যাটসম্যান ফিল্ডিংয়ে বাধা দেন এবং ডেলিভারিটি নো বল না হয়, তাহলে স্ট্রাইকে থাকা ব্যাটসম্যানকেই আউট ঘোষণা করা হবে। তাই এই আইনের ভিত্তিতেই মাহেদী হাসানকে আউট ঘোষণা করা হয়।
মাহেদী আউট হওয়ার পর ম্যাচটি আরও উত্তেজনায় ভরপুর হয়ে ওঠে। কাইল মায়ার্সের করা শেষ ওভারে নুরুল হাসান ৩ ছক্কা এবং ৩টি চার মেরে রংপুর রাইডার্সকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। নুরুলের এই ইনিংসের কারণে রংপুর ম্যাচটি জিতলেও বিতর্কিত সিদ্ধান্তটি নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, ফিল্ডিংয়ে বাধা দেয়া সত্ত্বেও কেন নুরুল আউট হলেন না?
ম্যাচের শেষ মুহূর্তে এমন বিতর্কিত ঘটনা রোমাঞ্চকে বাড়িয়ে দিলেও ক্রিকেটের নিয়মগুলো আরও ভালোভাবে ব্যাখ্যা করা এবং প্রয়োগ করা প্রয়োজন। বিশেষত, এমন নিয়ম যেগুলো সাধারণ দর্শকদের জন্য সহজে বোধগম্য নয়। নুরুলের অসাধারণ ইনিংসের পাশাপাশি এই ম্যাচটি আরও দীর্ঘদিন আলোচনায় থাকবে তার বিতর্কিত মুহূর্তের জন্য।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।