ঢাকাSunday , 9 March 2025
  1. world cup cricket t20
  2. অলিম্পিক এসোসিয়েশন
  3. অ্যাথলেটিক
  4. আইপিএল
  5. আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আরচারি
  8. এশিয়া কাপ
  9. এশিয়ান গেমস
  10. এসএ গেমস
  11. কমন ওয়েলথ গেমস
  12. কাবাডি
  13. কুস্তি
  14. ক্রিকেট
  15. টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

কিউইদের স্বপ্ন ভেঙে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা ভারতের

BDKL DESK
March 9, 2025 10:46 pm
Link Copied!

প্রথম বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারতে হয়েছিল ভারতকে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচে সেই হারের শোধ তোলার মোক্ষম সুযোগ হাতছাড়া করেনি তারা। রবিবার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের ফাইনালে কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মারা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এক বছর না যেতেই দ্বিতীয় আইসিসি ইভেন্টের ট্রফি জিতলো ভারতীয়রা। ২০২৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে শিরোপা জিততে না পারার আক্ষেপও যেন ঘুচলো।
লক্ষ্যটা ছিল ২৫২ রানের। শুরুটাও ছিল দারুণ। অধিনায়ক রোহিত শর্মা প্রথম থেকে হাত খুলে খেললেন। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে কাইল জেমিসনকে ছক্কা মারেন ভারতের ওপেনার। একই আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে খেলে গেছেন তিনি আরও লম্বা সময়। ১১তম ওভারে ৪১ বলে করে ফেলেন হাফ সেঞ্চুরি। শুবমান গিলের সঙ্গে ১০৫ রানের জুটি ছিল তার। এরপরই হঠাৎ ছন্দপতন।
বিনা উইকেটে ১০৫ রান করা ভারত ১২২ রানে হারায় তিন উইকেট। গিল, বিরাট কোহলির পর রোহিতও মাঠ ছাড়েন। ১৯তম ওভারে মিচেল স্যান্টনারের শিকার হন গিল, করেন ৩১ রান। কোহলি ২ বল খেলে এক রান করে মাইকেল ব্রেসওয়েলের বলে আউট হন। রোহিতকে ৭৬ রানে ফেরান রাচিন রবীন্দ্র। এই বিপর্যয়ের রেশ বেশিক্ষণ থাকেনি।
তারপর ক্রিজে নেমে শ্রেয়াস আইয়ার ওই ধাক্কা সামলে নেন। লং অনে ৪৬ রানে জেমিসনের হাতে জীবন পেয়ে নিউজিল্যান্ডকে আক্ষেপে ভাসান তিনি। তবে ৩৯তম ওভারে তাকে থামতে হয়েছে। ৪৮ রানে মিচেল স্যান্টনারের বলে রাচিন রবীন্দ্রর ক্যাচ হন শ্রেয়াস।
তারপর হার্দিক পান্ডিয়া ও লোকেশ রাহুল আক্রমণাত্মক জুটিতে দলকে জয়ের পথে রাখেন। লক্ষ্য থেকে ১১ রান দূরে থাকতে হার্দিক ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে আউট হন। জেমিসনকে ফিরতি ক্যাচ তুলে দেন তিনি। তবে পথ হারায়নি ভারত। রবীন্দ্র জাদেজা ও রাহুল মিলে এক ওভার হাতে রেখে দলকে জেতান। ৪৯তম ওভারের শেষ বলে চার মেরে ভারতকে শিরোপা জয়ের আনন্দে ভাসান জাদেজা।
এর আগে ওপেনিংয়ে ৫৭ রান করা নিউজিল্যান্ড মিচেল ও মাইকেল ব্রেসওয়েলের ফিফটিতে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান করে। শুরুটা দারুণ করেছিল নিউজিল্যান্ড। প্রথম ৭ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫১ রান করে কিউইরা। তবে শুরুর সেই দাপট ধরে রাখতে পারেননি কিউই ব্যাটাররা। পেসারদের সরিয়ে দেয়ার পর স্পিনাররা এসে ভারতকে চালকের আসনে বসান।
শুরুটা করেন বরুণ চক্রবর্তী। অষ্টম ওভারের পঞ্চম বলে উইল ইয়াংকে ফিরিয়ে ভারতকে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন এই রহস্য স্পিনার। ২৩ বলে ১৫ রান করে এলবিডব্লিউ হন ইয়াং।
ইয়াংয়ের বিদায়ের পরই কিউইদের আরও চেপে ধরে ভারত। দুই প্রান্ত থেকে স্পিন বোলিং এনে চাপ বাড়াতে থাকেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। সাফল্যও এসেছে তাৎক্ষণিকভাবেই। একাদশ ওভারে প্রথমবার বোলিংয়ে এসেই প্রথম বলেই ইনফর্ম রাচিন রবীন্দ্রকে ফেরান কুলদীপ যাদব। ২৯ বলে ৩৭ রান করেন রবীন্দ্র।
চাপের মুহূর্তে কিউইদের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটার কেইন উইলিয়ামসন হাল ধরতে পারেননি। কুলদীপের বলে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ৭৫ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ৩৩ রানের জুটি গড়েন টম লাথাম এবং ড্যারেল মিচেল। লাথামকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে এই জুটি ভাঙেন জাদেজা।
ভারতীয় স্পিনের সামনে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি বিধ্বংসী ব্যাটার গ্লেন ফিলিপসও। ড্যারেল মিচেলের সঙ্গে ৫৭ রানের জুটি গড়লেও রান এগিয়েছে খুব ধীরগতিতে। বরুণ চক্রবর্তীর বলে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে ৫২ বলে ৩৪ রান করেছেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এই ব্যাটার।
তবে এক প্রান্তে উইকেট পড়তে থাকলেও অন্য প্রান্তে আগলে ব্যাটিং করেছেন মিচেল। ৪৬ তম ওভারে মোহাম্মদ শামির বলে আউট হওয়ার আগে ১০১ বলে ৬৩ রান করেন তিনি। শেষদিকে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন ব্রেসওয়েল। ৪০ বলে তার ৫৩ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ২৫১ রানের সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড। তবে সেটা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।
ভারতের হয়ে বল হাতে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন কুলদীপ যাদব এবং বরুণ চক্রবর্তী। মোহাম্মদ শামি এবং জাদেজা নিয়েছেন একটি করে উইকেট।

২৫ বছর আগের বদলা : ২০০০ সালের কেনিয়ার নাইরোবিতে বসেছিলেন আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দ্বিতীয় আসর। সেবার ফাইনালে মুখোমুখি হয় নিউজিল্যান্ড এবং ভারত। অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলির সেঞ্চুরি যে জয়ের আশা জাগিয়েছিল ভারতীয় সমর্থকদের মনে, তাতে পানি ঢেলে দেন ক্রিস কেয়ার্নস। নাইরোবিতে একাই নিউজিল্যান্ডকে জিতিয়ে দেন তিনি। স্বপ্নভঙ্গ হয় সৌরভদের। ২৫ বছর আগের সেই হারেরই বদলা নিলেন এবার রোহিত, কোহলিরা।
২০০০ সালের ফাইনালই শেষ নয়। আইসিসি প্রতিযোগিতার ইতিহাসে বারবার ভারতকে টেক্কা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল ভারতকে। ওই হারের পর অবসর নেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ২০২১ সালে প্রথম বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও হারতে হয়েছিল বিরাট কোহলির ভারতকে। তাৎপর্যপূর্ণ, নিউজিল্যান্ড যে দু’টি আইসিসি ট্রফি জিতেছে সেই দু’টিই ভারতকে হারিয়ে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।