২৩৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৩০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো ধুঁকছিল টাইগাররা। সেখান থেকে মুশফিকুর রহিম আর মেহেদী হাসান মিরাজের জুটি। কিন্তু মিরাজ আউট হওয়ার পর আবারও শঙ্কা। সেই শঙ্কা কেটে গেলো রিশাদ হোসেনের শেষ সময়ের টর্নেডো এক ইনিংসে।
১৮ বলে ৪৮ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে দলকে জয়ের পথ গড়ে দিয়েছেন লোয়ার অর্ডারের রিশাদ। শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেট আর ৫৮ বল হাতে রেখে হারিয়ে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ।
আট নম্বর একজন ব্যাটার দলের বিপদের মুখে হাঁকালেন ৫ চার আর ৪টি ছক্কা। এর আগে বল হাতেও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নিয়েছিলেন লঙ্কান অধিনায়ক কুশল মেন্ডিসের উইকেট।
রিশাদের এমন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স, অধিনায়ক হিসেবে কতটা স্বস্তির? শান্তর জবাব, ‘প্রথমেই ওর বোলিংটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। লেগস্পিনার আমাদের নেই। যদি গত নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকে দেখা হয়, আমার মনে হয় ভালো বোলিং করছে। সাতে ব্যাটিংটা নিউজিল্যান্ড সিরিজে যেমন ছিল, তার থেকে অনেক উন্নতি করেছে আমার মনে হয়। তারপরও অনেক উন্নতির জায়গা আছে, ওটা নিয়ে সে কাজও করছে। অবশ্যই খুব খুশি। এমন খেলোয়াড় দলে থাকলে তো অধিনায়কের জন্য অনেক সহজ হয়।’
মিরাজ যখন আউট হয়ে গেলেন ৬ উইকেটে ১৭৮ রান বাংলাদেশের। স্বীকৃত ব্যাটার বলতে কেউই ছিলেন না মুশফিককে সঙ্গ দেওয়ার মতো। ওই সময় বাংলাদেশ ডাগআউটের অবস্থা কেমন ছিল? রিশাদকেইবা কী পরিকল্পনায় ব্যাট করতে বলে দিয়েছিল টিম ম্যানেজম্যান্ট?
শান্তর জবাব, ‘মিরাজের আউটের পর একটু তো…ডাগআউটটা একটু দুশ্চিন্তায় ছিল। রিশাদকে ওমন কোনো প্লান দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছিল, যেটা মন চায় ওভাবে যেন ব্যাট করে।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।