ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডকে প্রথম কোনো টেস্ট ম্যাচে হারিয়েছে বাংলাদেশ। দাপুটে পারফরম্যান্সে ১৫০ রানে পাওয়া জয় দিয়েই তারা আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্র শুরু করল। দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে জিতে নাজমুল হোসেন শান্তর দল ১২ পয়েন্ট পেয়েছে। যেখানে ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন শান্ত-মুশফিকুর রহিমরা, আর বল হাতে দ্যুতি ছড়িয়েছেন তাইজুল ইসলাম।
চলতি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলে এখন পর্যন্ত দুই ম্যাচে দুই জয় নিয়ে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে পাকিস্তান। এক ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তারপরই অবস্থান টাইগারদের। ভারত দুই ম্যাচে একটি করে জয় ও ড্র নিয়ে ১৮ পয়েন্ট পেয়েছে। অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড পাঁচ ম্যাচে দুটি করে জয়ে পয়েন্ট পেয়েছে যথাক্রমে ১৮ ও ৯। একটি করে ড্র ও হার নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভাগে ৪ পয়েন্ট। শ্রীলঙ্কা দুই ম্যাচ ও কিউইরা এক ম্যাচ খেলে জয় না পাওয়ায় তাদের পয়েন্ট শূন্য।
বাংলাদেশের এই জয়ে অবশ্য প্রথম ইনিংসে মাহমুদুল হাসান জয়ের করা ৮৬ রানের ক্যামিও দারুণ ভূমিকা রেখেছে। কেননা প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে বেশ সংগ্রাম করতে হয়েছে স্বাগতিকদের। তবে ম্যাচসেরা তাইজুলই পুরো আলো কেড়ে নিয়েছেন। সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের পর বাংলাদেশের তৃতীয় বোলার হিসেবে টেস্টে দ্বিতীয়বারের মতো এক ম্যাচে ১০ উইকেট নিলেন তাইজুল। এর আগে ২০১৮ সালে তিনি টেস্টে প্রথমবারের মতো ১০ উইকেট নিয়েছিলেন। একটা জায়গায় মিল তাইজুলের জন্য, সেটিও ছিল এই সিলেটের মাটিতেই।
এ নিয়ে সাদা পোশাকে চলতি বছর বাংলাদেশ শতভাগ জয়ের ধারা ধরে রেখেছে। এ বছর তারা তিনটি টেস্ট খেলেছে দেশের মাটিতে। যার সবকটিতেই টাইগাররা জিতেছে। এপ্রিলে তারা জিতেছিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। জুনে একমাত্র টেস্টে আফগানিস্তানকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এবার কিউইদের দেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো হারানোর ইতিহাস গড়ল।
এর আগে গত বছর মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে কিউইদের প্রথম কোনো টেস্টে হারিয়েছিল মুমিনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে জয় পাওয়া সেই ম্যাচের নায়ক ছিলেন পেসার এবাদত হোসেন। এবার তিনি চোটের কারণে মাঠের বাইরে থেকে আজকের ইতিহাসের স্বাক্ষী হলেন। যেখানে তার ভূমিকায় তাইজুল। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১০ উইকেট নিয়ে ৩১ বছর বয়সী এই স্পিনার ম্যাচসেরা হয়েছেন।
সিলেট পর্ব শেষ, এবার দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড উড়াল দেবে ঢাকায়। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দু’দল দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে আগামী ৬ ডিসেম্বর মুখোমুখি হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।