ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) আবাহনীর কাছে কোন পাত্তাই পায়নি শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। একপেশে এই ম্যাচে আবাহনী ১০ উইকেটে জয় পেয়েছে।
মিরপুরে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আবাহনীর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। শরিফুল, তাসকিন ও তানভীরের বোলিং তোপে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে শেখ জামাল। মাত্র ৮৮ রানেই অলআউট হয়ে যায় শেখ জামাল।
শেখ জামালের ব্যাটিং ধসের শুরুটা করেন শরিফুল। দলীয় ১৭ রানে শেখ জামালের সাইফ হাসানকে তুলে নিয়ে ওপেনিং জুটি ভাঙেন তিনি। এরপর ক্রিজে নেমে মাত্র ৪ রান করেই ফিরে যান রবিউল ইসলাম। তাকেও তুলে নেন শরিফুল। তাসকিনের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ফজলে মাহমুদ। শেখ জামালের অধিনায়ক নুরুন হাসান শূন্য রানে আউট হন তাসকিনের বলে শান্তর কাছে ক্যাচ দিয়ে। বাকিরা আশা-যাওয়ার মধ্যেই থাকে। শেখ জামালের হয়ে সর্বোচ্চ ২৩ রান আসে ওপেনার সৈকত আলির ব্যাট থেকে। ইয়াসির আলি করেছেন ১৭ রান।
এদিন বোলিংয়ে দুর্দান্ত ছিলেন তাসকিন-শরিফুলরা। তবে সবচেয়ে সফল ছিলেন শরিফুল। বাংলাদেশের বাঁহাতি এই পেসার ৭ ওভার বোলিং করে ৩৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। তাসকিন আহমেদ পেয়েছেন ১৬ রান খরচায় ২ উইকেট। আর তানভীর ইসলাম ৪.৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ৭ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। বাকি দুই উইকেট নিয়েছেন তানজিম হাসান ও মোসাদ্দেক হোসেন।
ছোট্ট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কোন প্রকার সমস্যায় পড়তে হয়নি আবাহনীর। দুই ওপেনার বিজয় ও নাঈম মাত্র ৬২ বলেই তুলে নেন এই রান। এনামুল বিজয় ২২ বলে ৩৭ এবং মোহাম্মদ নাঈম ৪০ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন। ফলে ১০ উইকেট ও ২৩৮ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আবাহনী।
চলতি ডিপিএলে এখন পর্যন্ত অপরাজিত আবাহনী। ১১ ম্যাচ খেলে সবকটিতে জয় পেয়েছে শান্তর দল। আর ১১ ম্যাচে ৮ জয় নিয়ে টেবিলের দুইয়ে রয়েছে শেখ জামাল।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।