প্রথম ড্রয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে হার। তৃতীয় ম্যাচেও পয়েন্ট হারানোর শঙ্কা জেগেছিল আবাহনীর। কিন্তু সেই শঙ্কা দূর করে আবাহনীকে লিগের প্রথম জয় এনে দিয়েছেন কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্ট। গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে শুক্রবার শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবকে আবাহনী হারিয়েছে ওই এক গোলের ব্যবধানেই।
প্রথমার্ধে আবাহনীকে চাপে রাখে শেখ জামাল। তাতে সুযোগ আসে বার কয়েক, কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। এই অর্ধেই দশজনের দলে পরিণত হয় আবাহনী। লাল কার্ড দেখে রিয়াদু রাফি মাঠ ছাড়লে বাকি সময় দশজন নিয়ে খেলেছে আকাশি-নীলরা।
এর পরেও মনোবল হারায়নি আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির দল। দ্বিতীয়ার্ধে রক্ষণ আগলে আক্রমণে মনোযোগী হয়ে তুলে নিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ জয়।
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই সুযোগ নষ্ট করে জামাল। হিগর লেইতের বাড়ানো বল বক্সে পেয়ে যান শাকদোজ। তার সামনে ছিলেন শুধুই গোলরক্ষক, কিন্তু কোনাকুনি শটে বলে জালে পাঠাতে পারেননি। সতেরো মিনিটে কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্ট গোলরক্ষককে একা পেয়ে গিয়েছিলেন; কিন্তু আবাহনীর এই ফরোয়ার্ড শট নেওয়ার আগেই পেছন থেকে দারুণ স্লাইডে কর্নারের বিনিময়ে দলের ত্রাতা শাকিল আহমেদ।
৩৮ মিনিটে রিয়াদুল হাসান রাফির লালকার্ডে দশজনের দলে পরিণত হয় আবাহনী। বল রাফির পা গলে বেরিয়ে গেলে পেছন থেকে ছুটে এসে নিয়ন্ত্রণ নেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। তাকে পেছন থেকে ফাউল করে সরাসরি লালকার্ড দেখেন রাফি। বক্সের ঠিক ওপর থেকে হিগর লেইতের ফ্রি কিক রক্ষণ দেয়ালে ব্লকড হলে স্বস্তির সমতা নিয়ে বিরতিতে যায় আবাহনী।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সুবর্ণ সুযোগ পায় আবাহনী। কিন্তু এমেকার ক্রস সবাইকে ফাঁকি দিয়ে খুঁজে নেয় মেহেদী হাসান রয়েলকে, কিন্তু গোলমুখ থেকে এই ফরোয়ার্ড বাইরে মেরে বসেন বিস্ময়করভাবে। তবে আবাহনীকে গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয় ৮৮ মিনিট পর্যন্ত। প্রতি-আক্রমণে গিয়ে দারুণভাবে বক্সে ঢুকে ফিনিশিং করেন কর্নেলিয়ান স্টুয়ার্ট।
তিন ম্যাচে একটি করে জয়, হার ও ড্রতে আবাহনীর পয়েন্ট ৪। আর দুই হার ও এক জয়ে শেখ জামালের পয়েন্ট ৩।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।