ফরচুন বরিশালের প্রথম তিন ব্যাটার পেয়েছিলেন রানের দেখা। প্রথম ১২ ওভারেই রান উঠেছিল ১০০-এর বেশি।
কিন্তু এরপরই রংপুর রাইডার্সের পেসার আবু হায়দার রনির বোলিং ঝলকের শুরু। এই তরুণের বোলিং তোপে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বরিশাল। রনি একাই তুলে নেন ৫ উইকেট। তবে শুরুর ব্যাটারদের কারণে শেষ পর্যন্ত মাঝারি সংগ্রহ পেয়েছে বরিশাল।
সবার আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করে ফেলা রংপুরের জন্য এ ম্যাচটি পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রাখার মিশন। বিপরীতে বরিশালের জন্য লড়াইটা শেষ চার নিশ্চিতের। আগে ব্যাট করতে নেমে তারা ৯ উইকেট হারিয়ে রংপুরের সামনে ১৫২ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে।
বরিশালকে ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও টম ব্যান্টন। এক প্রান্তে ঝড় তুলতে শুরু করেন তামিম। তুলনায় ব্যান্টন ছিলেন কম আগ্রাসী। তাদের জুটি থামে পঞ্চম ওভারে। সাকিব আল হাসানের করা ওভারের প্রথম বলেই মুমিনুল হকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তামিম। এই বাঁহাতি ব্যাটার ২০ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় করেন ৩৩ রান।
তামিম বিদায় নিলেও বরিশাল ঘুরে দাঁড়ায় কাইল মায়ার্সের ব্যাটে। ব্যান্টনের সঙ্গে তার জুটিতে আসে ৭২ রান। ২৪ বলে ২৬ রান করা ব্যান্টনকে বিদায় করেন কিউই অলরাউন্ডার জিমি নিশাম। মায়ার্স অবশ্য রংপুরের বোলারদের ওপর ভালোভাবেই ছড়ি ঘুরিয়েছেন। ২৭ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪৬ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলেন ক্যারিবীয় ব্যাটার। তবে তাকে ছাপিয়ে যান রনি। ১৩তম ওভারে প্রথমবার বোলিংয়ে এসেই মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকার ও মায়ার্সকে বিদায় করেন রনি।
নিজের পরবর্তী ওভারে রনি শিকার করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের উইকেট। তার পঞ্চম ও শেষ শিকার মেহেদী হাসান মিরাজ। একমাত্র মায়ার্স ছাড়া রনির শিকার বাকি ৪ ব্যাটার কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। শেষদিকে বরিশালকে কোনোমতে দেড়শ পার করতে ভূমিকা রাখেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন (১০) ও ওবেদ ম্যাকয় (১২*)।
বল হাতে ৫ উইকেট নেওয়ার পথে ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান খরচ করেছেন রনি। ২ উইকেট পেয়েছেন আরেক পেসার হাসান মাহমুদ। আর ১ উইকেট সাকিবের।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।