টুর্নামেন্টজুড়ে বিশ্বকাপ মাতিয়েছিলেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, স্রেয়াশ আয়ার, মোহাম্মদ শামি কিংবা গ্লেন ম্যাক্সওয়েলরা। কে জানতো, বিশ্বকাপের ফাইনালে এদের কেউ নয়, সমস্ত আলো কেড়ে নেবেন অন্য কেউ? তিনি হলেন ট্রাভিস হেড। ভারত বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার শিরোপা জয়ের সবচেয়ে বড় নায়ক।
এভাবেই বুঝি কিংবদন্তির সৃষ্টি হয়। বিশ্ব ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়া আরো একবার প্রমাণ করলো কেন তাদের পৃথিবীর সেরা ক্রিকেট দল। ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ৬ষ্ঠ বিশ্বকাপ জয়ের দিনে অজিদের নায়ক হয়ে উঠলেন ট্রাভিস হেড।
অথচ হেডের বিশ্বকাপে খেলারই কথা ছিল না। প্রথম পাঁচ ম্যাচ ইনজুরির কারণে একাদশেই সুযোগ পাননি। তবুও তার উপর আশা হারায়নি অস্ট্রেলিয়া। তাকে দলে রেখে ও পরবর্তীতে তাকে একাদশে সুযোগ দিয়ে প্রমাণ করলো অজিদের দাঁড়াই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব।
ট্রাভিস হেডও আস্থার প্রতিদান এভাবে দিবেন সেটি বোধহয় অজিরাও ভাবেনি। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও হয়েছিলেন ম্যান অফ দ্য ম্যাচ।
বিশ্বকাপের ফাইনালে যখন ২৪০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে মোহাম্মদ শামি এবং জসপ্রিতম বুমরাহদের তোপের মুখে একের পর এক উইকেট হারাচ্ছিলো অসিরা, তখন অন্যপাশে অবিচল আস্থার সঙ্গে ব্যাট করে ১৩৭ রানের অভাবনীয় এক ইনিংস খেলে দলকে এনে দিলেন বিশ্বজয়ের খেতাব।
অথচ শুরুতে তিন উইকেট হারানোর পর বেশ ধুঁকছিল অজিরা। সেখান থেকে লাবুশেনকে সঙ্গে নিয়ে ভারতের মনোবল ভেঙে দেওয়ার কাজটিই করেন তিনি। ১২০ বলে ১৩৭ রানের ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছিলেন ১৫টি চার ও চারটি ছক্কার মাধ্যমে। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের তালিকায় তার ইনিংসটি থাকবে দ্বিতীয় স্থানে। ১৪৯ রান করে সবার উপরে রয়েছেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।