বাংলাদেশের আম্পায়ারিং ইতিহাসে অনেক ‘প্রথম’ লেখা হয়েছে শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকতের নামে। তবে এবারই মনে হয় সবচেয়ে বড় সাফল্যটা ধরা দিলো তার আম্পায়ারিং ভুবনে। বাংলাদেশের প্রথম আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির সবচেয়ে মর্যাদার এলিট প্যানেলে যুক্ত হলেন শরফুদ্দৌলা। ‘প্রথম’ বলেই ৪৭ বছর বয়সী আম্পায়ারের আনন্দটা বহুগুণ।
এলিট প্যানেলে সুযোগ পাওয়া শরফুদ্দৌলা বলেছেন, ‘আইসিসির এলিট প্যানেলে নাম আসাটা দারুণ সম্মানের। আমাদের দেশের প্রথম ব্যক্তি বলে এটি আরও বিশেষ ব্যাপার। আমার ওপর যে আস্থা রাখা হয়েছে, তার প্রতিদান দিতে উন্মুখ হয়ে আছি। বেশ কয়েক বছর ধরেই আমার কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে এবং আরও চ্যালেঞ্জিং দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত আমি।’
বাংলাদেশের প্রথম আম্পায়ার হিসেবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ম্যাচ পরিচালনা করেছেন শরফুদ্দৌলা। দেশের বাইরে টেস্ট ম্যাচে প্রথম আম্পায়ার হিসেবে অনফিল্ডের দায়িত্ব পালন করেছেন। এবার এলিট প্যানেলের দুয়ারে তার হাত ধরেই প্রবেশ করল বাংলাদেশ।
২০১০ সালে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুরের ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক আম্পায়ারিংয়ে অভিষেক হয় শরফুদ্দৌলার। লম্বা সময় ধরে ক্রিকেটাঙ্গনে বিচরণ তার। ধারাবাহিকভাবে দ্বিপক্ষীয়, আইসিসি এবং মহাদেশীয় ইভেন্টে দারুণভাবে ম্যাচ পরিচালনা করে আসছিলেন। আইসিসি আম্পায়ারদের ‘ইমার্জিং’ প্যানেলের ওপরের দিকে ছিলেন তিনি।
সম্প্রতি আম্পায়ার মারাইস ইরাসমাস অবসরে যাওয়ায় এলিট প্যানেলে শরফুদ্দৌলার অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। নিজেদের এই অর্জনে শরফুদ্দৌলা ধন্যবাদ জানালেন সংশ্লিষ্ট সবাইকে, ‘আইসিসি ও বিসিবিকে ধন্যবাদ, আমাকে সমর্থন জোগানোর জন্য। সহায়তা ও নির্দেশনার জন্য আমার অন্য সহকর্মীদেরও ধন্যবাদ। আমার পরিবার ও বন্ধুদেরও ধন্যবাদ দিতে চাই আমাকে সমর্থন দিয়ে যাওয়ার জন্য।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।