ক্লাব ক্রিকেটে আবাহনী ও শাইনপুকুরের কোচিং করাচ্ছেন বেশ কয়েক বছর হলো। বিপিএলেও বিভিন্ন সময় পেস বোলিং কোচের ভূমিকায় দেখা গেছে তাকে। তবে এবারই প্রথম খুলনা টাইগার্সের হেড কোচের দায়িত্ব পালন করবেন তালহা জুবায়ের। স্থানীয় কোচদের ভেতরে তিনিই প্রথমবার বিপিএলে কোচিং করাবেন।
তালহার ভাষায়, ‘এটা আমাদের জন্য পজেটিভ দিক। এটা আমার জন্য অনেক বড় সুযোগ। বিপিএলের মতো বড় টুর্নামেন্টে হেড কোচ হিসেবে আমি প্রথমবার করছি। আমি প্রিমিয়ার লিগে করি, ন্যাশন্যাল লিগে করি কিন্তু বিপিএলটা বিগ স্টেজ ফর আস। আমি আশা করি, এখানে আমাদেরও অনেক কিছু শেখার থাকবে। আমাদেরও জানার থাকবে। আশা করি, এই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারব।’
নিজ দল সম্পর্কে তালহার অনুভব, ‘আমাদের এভিন লুইস, শাই হোপ আসছে। ধনঞ্জয়া আসবে। ফাহিম আশরাফ আর রাজিথা একটু ইনজুরড আছে। আশা করি, ফিটনেস টেস্টটা পাশ করে যায় তাহলে এনওসি পাবে। আরও বড় কিছু নাম যোগ করতে চেষ্টা চলছে। দক্ষিণ আফ্রিকার লিগটা শেষ হলে ওখানে যারা ফ্রি থাকবে, ওখান থেকে কিছু আনতে পারব। লোকাল প্লেয়ার যারা আছে তারা সবাই ফিট আছে। আমরা নাহিদ রানাকে নিয়েছি।’
বিপিএলে প্রথমবার হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে নিজের লক্ষ্য স্থির করে ফেলেছেন তালহা, ‘আমার কাজ হবে এনভায়রনমেন্ট ঠিক রাখা। আমার টিমের প্লেয়ারদের কম্বিনেশন-আন্ডারস্ট্যান্ডিং ঠিক রাখা। আমি যদি আমার টিমের এনভায়রনমেন্ট ও অ্যান্ডারস্ট্যান্ডিং ঠিক রাখতে পারি, তাহলে এই টিম নিয়ে ভালো কিছু করা সম্ভব।’
ঢাকায় মাঠ খুব কম। বসুন্ধরা ছাড়া আর কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজির নিজস্ব মাঠ নেই। সবাই শেরে বাংলার একাডেমি মাঠে গাঁদাগাদি করে অনুশীলনে ব্যস্ত। খুলনার প্র্যাকটিস হবে বিকেএসপিতে।
ঢাকায় মাঠ সংকট নিয়ে তালহার কথা, ‘আমি যখন প্লেয়ার ছিলাম, তখন আবাহনী মাঠ ছাড়া তেমন কোনো মাঠই ছিল না। এখন তো আবাহনী মাঠেও খেলা হয় না। ঢাকার মধ্যে মাঠ থাকাটা জরুরি। আশা করি, একাডেমি যেটা হচ্ছে পূর্বাচলে, ওইখানে হলে আমরা অনেকটা ওভারকাম করতে পারব। কিন্তু মাঠের ইস্যুটা আমরা সবসময় সাফার করেছি। আমাদের ঢাকা শহরে মাঠ নেই। আশা করি এখান থেকে বের হয়ে আসতে পারব।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।