ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ইংল্যান্ড বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর প্রথমবারের মতো তাদের বিপক্ষে সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে নানা কারণে বিতর্কিত টাইগাররা। এমন অবস্থায় মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে ইংলিশ বধের স্বপ্ন নিয়ে নামছে তামিম ইকবালের দল।
বুধবার (১ মার্চ) মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ।
তাসমানিয়ান সাগরের তীরে ইংল্যান্ডের টেস্ট দল মাত্র একদিন আগে হেরেছে টেস্ট ম্যাচ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ১ রানে হেরে গেছে বেন স্টোকসের দল। দুনিয়ার আরেক প্রান্তে বুধবার বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে খেলতে নামছে ইংল্যান্ডের সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি দল। প্রায় একই সময়ে দুটো সিরিজ খেলার মতো দলের গভীরতা যাদের, তাদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বাংলাদেশকে লড়তে হচ্ছে নিজেদের বিপক্ষেই। অভিযোগের শেষ নেই টাইগারদের বিরুদ্ধে। তারকাদের দ্বন্দ্ব, ড্রেসিংরুমে গ্রুপিং সংস্কৃতি, বোর্ড ও খেলোয়াড়দের পাল্টাপাল্টি মন্তব্য, ইত্যাদি নিয়ে মাথা ঘামাতেই সময় চলে যাচ্ছে; ইংলিশ পরীক্ষার প্রস্তুতি আর নেবে কী!
তবে বাংলাদেশ দল তো এমন পরিস্থিতিতেই সেরা পারফরম্যান্স দিতে অভ্যস্ত। বিশেষ করে পছন্দের সংস্করণ ওয়ানডে ক্রিকেটে তো ঘরের মাঠে বলতে গেলে অজেয় বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্মৃতি তো এখনও টাটকা। ইংলিশদের বিপক্ষেই তামিম ইকবালের দলকে এগিয়ে রাখছেন অনেকেই।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এখনো সিরিজ জেতা হয়ে ওঠেনি বাংলাদেশের। টেস্ট খেলুড়ে দেশের মধ্যে এ একটা দেশের বিপক্ষেই সিরিজ জয় বাকি টাইগারদের। এবারের সফরেই সেই আক্ষেপ ঘুচিয়ে ফেলতে চায় বাংলাদেশ। যেখানে মূল অস্ত্র হচ্ছে দলের স্পিনাররা।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অবশ্য বাংলাদেশকে আশা দেখাচ্ছে সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানও। সবশেষ খেলা ১২ ওয়ানডে ম্যাচের ৮টিতেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে তো সবশেষ ছয় সিরিজেই অপরাজিত। ঘরের মাটিতে সবশেষ সিরিজ হারটা ২০১৬ সালে এ ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই। সে অর্থে এ সিরিজটা প্রতিশোধেরও।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।