তাইজুল ইসলামের ২০১৪ সালে টেস্টে অভিষেক। এরপর বাংলাদেশের লাল বলের ক্রিকেটে অনেক টেস্ট ম্যাচ জয়ে বল হাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন। তবে এরপরও সাকিব আল হাসানের জন্য ছায়া হয়ে ছিলেন এই বাঁহাতি স্পিনার। তবে এ নিয়ে আক্ষেপ নেই তাইজুলের, বাস্তাবতা মেনে নিয়েছেন তিনি। আজ সংবাদ সম্মেলনে এমনটায় জানান তারকা এই স্পিনার।
বাস্তাবতা মেনে নিয়ে তাইজুল বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কী, আমাদের দেশে দেখবেন অনেককিছুই মুখে মুখে হয় আরকি। এই বিষয়টা হল যে, অনেকে আছে খারাপ করলে অনেক সময় ট্রল হতে হতে স্টার হয়ে গেছে, আবার অনেকে ভালো করেও স্টার হতে পারে না। এরকম অনেক হয়েছে। আমি এগুলো মেনে নিয়েছি। মেনে নেয়া ছাড়া উপায়ও নেই।’
বাদ পড়ার পেছনে অন্যকোনো কারণ দেখেন না তাইজুল। জানালেন কম্বিনেশনের কারণেই তাকে বাইরে থাকতে হয়েছে। যেখানে তার প্রয়োজন ছিল সেখানে সুযোগ পেয়েছেন বললেন।সাকিবের অনুপস্থিতিতে আবারও বাংলাদেশের বোলিংয়ের হাল ধরেছেন তাইজুল। প্রোটিয়াদের ৬ উইকেটের ৫টিই নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার। সাকিবের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি বোলার হিসেবে ২০০ উইকেট দখলের মাইলফলকে নামা লিখিয়েছেন।
বললেন, ‘বিশ্বের অনেকেই দুইশ কিংবা তার বেশি উইকেট নিয়েছেন। বাংলাদেশের বাস্তবতায় হয়ত আমি দুই জনের মধ্যে আছি। ভালো লাগছে তবে এটা প্রাউডের বিষয় না।’
সময়টা এখন তাইজুলের। মুরালির বিদায়ের পর টেস্টে উইকেটের ফুল ফোটাতে থাকেন হেরাথ। তাইজুলও হয়ত সেদিকে চোখ রাখবেন। ঢাকা টেস্টের মাধ্যমে সাকিবের টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ হওয়ার কথা ছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি তার শেষ ম্যাচটি খেলতে পারবেন কিনা, সেটি নিয়ে সংশয় রয়েই গেছে।
সাকিব খেলতে পারুক আর না পারুক, তাইজুল আশা করছেন বাঁহাতি অলরাউন্ডারের মতো ক্রিকেটার যেন আসে, ‘কখনও একজন আসবে, একজন যাবে। ১০ বছর, ১৫ বছর, খুব বেশি হলে ২০ বছর; এটা আমাদের মেনে নিতেই হবে। আসলে কোনও সন্দেহ নেই উনি অনেক ভালো খেলোয়াড় ছিলেন। কিন্তু আমরাও দোয়া করবো, আপনারাও দোয়া করবেন উনার মতো যেন আরেকজন আসে বা এখন যারা আছে তারাও যেন ভালো পারফরম্যান্স করে।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।