ভিয়েতনামের কাছে হার দিয়ে শুরু বাংলাদেশের

এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব কখনই পেরোতে পারেনি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল। আগের ছয়বারের চেষ্টায় ১৮ ম্যাচে জয় ছিল কেবল মাত্র একটিতে। সপ্তমবারের মতো চেষ্টায় মূল পর্বে ওঠার স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছিল লাল-সবুজের দল। তবে ভিয়েতনামে সেই ‘প্রথমে’র লক্ষ্যে এবারের শুরুটাও ভালো হলো না বাংলাদেশের।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) ভিয়েত ট্রাই স্টেডিয়ামে এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ‘সি’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে ২-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে স্বাগতিক ভিয়েতনাম। প্রথমার্ধের ১৫ মিনিটেই ফরোয়ার্ড এনগোক মাই গোল করে ভিয়েতনামকে এগিয়ে নেয়ার পর ম্যাচের ৮২ মিনিটে লিড দ্বিগুন করেন ভিকটর।

এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই একচ্ছত্র আধিপত্য দেখায় ভিয়েতনাম। ১০ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো তারা। ডি বক্সের ঠিক বাইরে থেকে নেওয়া ভিয়েতনাম মিডফিল্ডার ফি হোয়াং এর জোরালো শটটি বাংলাদেশের গোলবারে লেগে ফিরে আসে। তবে গোলের জন্য স্বাগতিকদের বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি।

ম্যাচের ১৫ মিনিটে আসে ভিয়েতনামের আনন্দের মুহূর্ত। ফি হোয়াং এর অ্যাসিস্ট থেকে ফরোয়ার্ড এনগোক মাই বাম প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে উঠে গোল করে এগিয়ে দেন ভিয়েতনামকে। তার কোনাকুনি নেওয়া শট তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না বাংলাদেশ গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণের।

২০ মিনিটে সম্মিলিত আক্রমণ থেকে লিড বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ভিয়েতনাম। তবে বক্সের ভেতরেই অধিনায়ক ভ্যান ট্রুওঙ্গ শট মারেন উড়িয়ে। ৩৫ মিনিটে প্রথম সুযোগ আসে বাংলাদেশের সামনে। সেট পিস থেকে অধিনায়ক শেখ মোরসালিন শট নিলেও তা সরাসরি গিয়ে থামে স্বাগতিক গোলরক্ষক ট্রুঙ্গ কিয়েন এর হাতে।

৩৯ মিনিট অধিনায়ক শেখ মোরসালিনের নেয়া ফ্রি-কিক বক্সের মধ্যে কোনো ধরনের বিপদ হতে দেননি ভিয়েতনামের ডিফেন্ডাররা। দুই মিনিট পর সমতায় ফেরার ভালো সুযোগ এসেছিলো বাংলাদেশের সামনে। কিন্তু ফরোয়ার্ড আল আমিনের দুর্বল শটের কারণে খু্ব সহজেই সেই বল নিজের হাতে নিয়ে নেন কিয়েন।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে থ্রু পাস ধরে গোলের সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন এনগোক। তার ক্রসের সামনে ডিফেন্ডার জাহিদ শান্ত বাধা হয়ে না দাঁড়ালে আরও একটি গোল হজম করতে হতো বাংলাদেশকে। এক গোলে পিছিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করেন কিউবা মিচেল, জায়ানরা।

বিরতির পর আক্রমণের ধার বাড়াতে আল আমিন ও আকাশকে উঠিয়ে মিরাজুল ইসলাম ও পিয়াস আহমেদ নোভাকে মাঠে নামান কোচ সাইফুল বারী টিটু। কিন্তু উল্টো একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে ভিয়েতনাম। ৬৩ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নাত মিনের নেয়া শট ডানদিকে ঝাপিয়ে পড়ে রক্ষা করেন শ্রাবণ।

পরের মিনিটেই কর্নার থেকে নাত মিনের নেওয়া হেডের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়ান রিমন হোসেন। ৭৭ মিনিটেও আরও একবার বাংলাদেশের ত্রাতা হয়ে দাঁড়ায় গোলবার। এবার লে ভিকটরের শট ঠেকে যায় ওপরের বারে লেগে। ৮২ মিনিটে আরেকটি চোখ জুড়ানো সেভ করেন শ্রাবণ।

তবে পরের মিনিটেই কর্নার থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ভিয়েতনাম। লি ডুকের অ্যাসিস্ট থেকে এবার সফল হন ভিকটর। শেষের যোগ করা সময়েও ফি হোয়াং গোলবঞ্চিত হন বারের জন্য। দিনের প্রথম ম্যাচে সিঙ্গাপুরকে ২-১ গোলে হারায় ইয়েমেন। পরের ম্যাচে শনিবার এই ইয়েমেনের মুখোমুখিই হবেন মোরসালিনরা।