আগামী মার্চে অস্ট্রেলিয়ার অনুষ্ঠিতব্য এএফসি নারী এশিয়ান কাপে প্রথমবার অংশ নেবে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। আসন্ন আসরকে সামনে রেখে থাইল্যান্ডে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে গেছে আফাঈদা খন্দকার, রিতুপর্ণা চাকমারা। কিন্তু ব্যাংককে অনুষ্ঠিত প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও বড় ব্যবধানে হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে পিটার বাটলারের শিষ্যরা।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) ব্যাংককের অ্যানিভার্সারি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে বাংলাদেশকে ৫-১ ব্যবধানে হারিয়েছে স্বাগতিক হংকং। প্রথমার্ধে বাংলাদেশের মেয়েরা ১-৩ গোলে পিছিয়ে ছিল। ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে বিরতির পর মাঠে নামলেও আরও দুই গোল হজম করে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। এর আগে প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক থাইল্যান্ড ৩-০ গোলে জিতেছিল।
প্রথম ম্যাচে থাইল্যান্ড প্রথম মিনিটেই লিড নিয়েছিল। আজকের ম্যাচেও প্রথম মিনিট থেকেই মুহুমুহু আক্রমণ করতে থাকে স্বাগতিকরা। তাতে ১২ মিনিটেই বাংলাদেশ প্রথম গোল হজম করে। কোচ বাটলারের সাজানো হাইলাইন ডিফেন্স তছনছ করে স্কোরলাইন ১-০ করেন সাওয়ালাক পেংগাম। গোলরক্ষক রুপনা চাকমা পোস্ট থেকে বেরিয়ে আসলেও তার পায়ের ফাক দিয়ে বল জালে পাঠান থাই অধিনায়ক।
১৬ মিনিটে বাঁ প্রান্ত ধরে একাই বল নিয়ে ছোটেন ঋতুপর্ণা চাকমা। শেষ পর্যন্ত নিজেদের অর্ধে তাঁকে আটকায় থাই ডিফেন্ডাররা। এর ঠিক চার মিনিট পর ফ্রি-কিক পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি বাংলাদেশের মেয়েরা। ২৩ মিনিটে আবারও বাংলাদেশের রক্ষণের দুর্বলতার সদ্ব্যবহার করে থাইল্যান্ড। এটাও বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা উপরে থাকায় থাই ফরোয়ার্ড সহজেই গোলের সুযোগ পান। মাঝমাঠ থেকে লম্বা শটে বাড়ানো বল গোলকিপার রুপনার মাথার ওপর দিয়ে জালে জড়ান জিরাপর্ন মংকোলডি।
২৯ মিনিটে শামসুন্নাহারের দুর্দান্ত গোলে বাংলাদেশ খেলায় ফেরে। বা প্রান্ত থেকে মারিয়া মান্দার কর্ণারে থাইল্যান্ডের বক্সে লাফিয়ে হেড করেন শামসুন্নাহার। বলের দিক পরিবর্তন করে গোলরক্ষককে কোনো সুযোগই দেননি তিনি। সাইড পোস্টে লেগে বল জালে জড়ায়। বাংলাদেশের ফুটবলাররা উল্লাসে মাতে।
এক গোল হজম করলেও থাইল্যান্ডের আক্রমণে ভাটা পড়েনি। ৩৪ মিনিটে আরও একবার বাংলাদেশের রক্ষণ দেয়াল টপকে যায় তারা। শামসুন্নাহার সিনিয়র ও আফঈদা খন্দকারের বাধা পেরিয়ে তৃতীয় গোলটি করেন প্রতিপক্ষ ফুটবলার ম্যাডিসন ক্যাস্টিন। তাতে ৩-১ ব্যবধানে লিড নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা। বিরতি থেকে ফিরে নয় মিনিটের মধ্যেই আবার জালের দেখা পায় স্বাগতিকরা।
৫৪ মিনিটে মেরিসন বক্সের বাইরে থেকে উড়ন্ত শটে গোল করেন। এই গোলটিও বাংলাদেশের বেশি উপরে ডিফেন্স করার কারণে। থাইল্যান্ডের গোলরক্ষক লম্বা শট নেন। সেই শট বাংলাদেশের অর্ধে ড্রপ করে ছুটতে থাকে। বাংলাদেশি ডিফেন্ডার থাই ফরোয়ার্ড মেরিসনকে আটকাতে পারেননি। গোলরক্ষক রুপ্না পোস্ট থেকে কিছুটা বেরিয়ে ছিলেন। মেরিসন সেটা বুঝেই বল রুপ্নার মাথার উপর দিয়ে শট নেন।
তিন মিনিট পর আবার বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা থাই ফরোয়ার্ডদের গতিতে পরাস্ত হন। এতে পেছন থেকে ডিফেন্ডার কোহাতি কিসকু অধিনায়ক সাওলাককে ফাউল করলে ভিয়েতনামের রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। পেনাল্টি থেকে জিরাপরান স্কোরলাইন ৫-১ করেন। এরপর দুই দল গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠলেও কেউই জালে জড়াতে পারেনি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।

