ঢাকাTuesday , 2 September 2025
  1. world cup cricket t20
  2. অলিম্পিক এসোসিয়েশন
  3. অ্যাথলেটিক
  4. আইপিএল
  5. আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আরচারি
  8. এশিয়া কাপ
  9. এশিয়ান গেমস
  10. এসএ গেমস
  11. কমন ওয়েলথ গেমস
  12. কাবাডি
  13. কুস্তি
  14. ক্রিকেট
  15. টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

মাঠে নেমেও খেলতে পারলেন না নারী ফুটবলাররা,

BDKL DESK
September 2, 2025 10:11 pm
Link Copied!

ফুটবল মাঠে প্রায়ই ওয়াকওভারের ঘটনা ঘটে। নানা কারণে প্রতিবাদ বা সমস্যার কারণে একটি দল মাঠে অনুপস্থিত থাকে। আবার কখনো খেলার ঘটনার প্রেক্ষিতে মাঠ ত্যাগের ঘটনাও ঘটে। তবে মাঠে খেলার জন্য প্রস্তুত থাকার পরও খেলতে না পেরে ওয়াকওভারের ঘটনা একেবারেই কদাচিৎ। এমন ঘটনাই ঘটেছে বাংলাদেশে অনূর্ধ্ব-১৪ জেএফএ নারী ফুটবল টুর্নামেন্টে।
গত ২২ আগস্ট রংপুর ভেন্যুতে পঞ্চগড় ও গাইবান্ধা অনূর্ধ্ব-১৪ দলের ম্যাচ ছিল। নির্ধারিত সময়ে গাইবান্ধা দল মাঠে ওয়ার্ম আপ করেছিল। এরপরও তারা খেলতে পারেনি। অন্যদিকে বাফুফে ঐ ম্যাচে গাইবান্ধাকে মাঠে শূন্য বিবেচনা করে পঞ্চগড়কে ২-০ গোলে ওয়াকওভার হিসেবে জয়ী ঘোষণা করেছে। গ্রুপের পরবর্তী ম্যাচগুলোতেও বাফুফে এভাবে ফলাফল দেখিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বাফুফের নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘এবার আমরা ফিফা কানেক্টের মাধ্যমে এই টুর্নামেন্টের ফুটবলারদের রেজিস্ট্রেশন করিয়েছি। যে ফুটবলাররা সেদিন উপস্থিত ছিল তাদের রেজিস্ট্রেশন ছিল না। যিনি দল নিয়ে গিয়েছিলেন তিনিও অথরাইজড নয়। গাইবান্ধার অভ্যন্তরীণ সমস্যার জন্যই এ রকম পরিস্থিতি হয়েছে।’

এদিকে সাবেক নারী ফুটবলার ও কোচ মাহমুদা খাতুন অদিতি গাইবান্ধা অনূর্ধ্ব-১৪ নারী ফুটবল দল নিয়ে মাঠে গিয়েছিলেন। তিনি বাফুফের সর্বশেষ নির্বাচনে গাইবান্ধা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কাউন্সিলর ও সদস্য পদপ্রার্থীও ছিলেন। গাইবান্ধা নারী ফুটবল দল না খেলতে পারার পেছনে তিনি বাফুফের নারী উইংয়ের প্রধানের ঘাড়েই সব দোষ চাপিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে অদিতি বলেন, ‘ফুটবলারদের ফিফা কানেক্টে রেজিস্ট্রেশনের দায়িত্ব ফেডারেশনের, বিশেষ করে নারী উইংয়ের। এটা সেদিনও করা যেত। মাঠে যখন এ নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল তখন সাধারণ সম্পাদক খেলতে বললেও নারী উইংয়ের চেয়ারম্যানের নির্দেশনাতেই শেষ পর্যন্ত গাইবান্ধার ক্ষুদে নারী ফুটবলাররা খেলতে পারেনি। মেয়েরা খেলতে না পেরে কান্নাকাটি করেছে। এর দায় ফেডারেশনের নারী উইংয়ের।’

বাফুফে জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনগুলোতে সংগঠনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ প্রদান করে। গাইবান্ধা জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের প্যাডে অদিতি সাধারণ সম্পাদক বরাবর এক আবেদনে তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে টাকা প্রদানের অনুরোধ জানান। সংগঠনের পরিবর্তে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে বাফুফে টাকা প্রদান করেছে কিনা এবং গাইবান্ধা ডিএফএ সাংগঠনিক বিষয় জানতে বাফুফে সাধারণ সম্পাদকের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্মকর্তা হলেও গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক গণমাধ্যম থেকে নিজেকে নিভৃতেই রাখেন।

চলতি বছরই বাফুফে দেশ ব্যাপী অনূর্ধ্ব-১৫ পুরুষ ফুটবল প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছে। সেই টুর্নামেন্টে গাইবান্ধা জেলা অংশগ্রহণ করেছে। আঞ্চলিক পর্বে ফাইনালে হেরেছে। সেই সময় গাইবান্ধার দল নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হলেও সেটার সমাধান করেছিলেন বাফুফে নির্বাহী সদস্য ও অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল করিম।

তিনি বলেন, ‘অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবল টুর্নামেন্টের সময় গাইবান্ধায় অদিতি এবং অন্য একটি পক্ষের উপস্থিতি আমি দেখেছি। আমি চেয়েছিলাম জেলার আগ্রহী ফুটবলাররা যেন খেলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত না থাকে। এজন্য আমি দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে একটি সমন্বয়ের মাধ্যমে খেলানোর চেষ্টা করেছি। পরবর্তীতে গাইবান্ধা বেশ ভালো খেলে ফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছিল।’

তবে নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ সংকট সমাধান বা ক্ষুদে ফুটবলারদের খেলানোর দিকে কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা নেননি। এজন্য তাকে দায়ী করে অদিতি বলেন, ‘মেয়েদের অন্তত খেলতে দিত সেদিন। এরপর আমার বা গাইবান্ধার ভুল বা অপরাধের শাস্তি দিত আপত্তি ছিল না। সেটা না করে কিরণ আপা খেলতেই দেননি। বাফুফে নির্বাচনে আমি তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলাম। এজন্য বোধহয় গাইবান্ধা ক্ষুদে ফুটবলারদের এমন পরিণত হলো। তিনি একাই নারী ফুটবল পরিচালনা করছেন।’

জাপান ফুটবল ফেডারেশনের অর্থায়নে বাফুফে প্রতি বছর অনূর্ধ্ব-১৪ নারী ফুটবল টুর্নামেন্ট করে। এই টুর্নামেন্টের প্রাথমিক পর্যায় শেষ। আট দল নিয়ে চূড়ান্ত পর্ব শুরু হওয়ার অপেক্ষায়।

 

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।