দেশের ফুটবলে বসুন্ধরা কিংস মানেই এক আলাদা ব্র্যান্ড। পেশাদারিত্ব আর আধুনিক সুবিধার কারণে ঘরোয়া ফুটবলে দ্রুতই নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে ক্লাবটি। নিজস্ব স্টেডিয়াম, আন্তর্জাতিকমানের ট্রেনিং ফ্যাসিলিটি, তারকা বিদেশি ফুটবলার ও কোচ—সব মিলিয়ে কিংসকে বর্তমান সময়ে দেশের সেরা ক্লাব বলা হয়। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের গত সাত মৌসুমে পাঁচবার শিরোপা জিতেছে তারা। এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগেও দেশের প্রতিনিধিত্ব করছে বসুন্ধরা কিংস।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে উল্টো স্রোতে ভাসছে ক্লাবটি। জাতীয় দলের ফুটবলারদের ছাড়পত্র না দেয়ায় সমালোচনার মুখে পড়ে তারা। কোচ হাভিয়ের কাবরেরা তাই কিংসের খেলোয়াড় ছাড়া জাতীয় দলের অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন। আবার গেল মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা হাতছাড়া করার পর রোমানিয়ান কোচ অস্কার ব্রুজোন তিতে-কে বিদায় দেয় কিংস। পাওনা টাকা না পাওয়ায় ফিফায় অভিযোগ করেন তিতে।
বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সময় বেঁধে দিলেও নির্ধারিত সময়ে অর্থ পরিশোধ করেনি বসুন্ধরা কিংস। ফলে শাস্তি হিসেবে ক্লাবটির ওপর তিনটি দলবদলে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ফিফা। নিজেদের ওয়েবসাইটে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি। অর্থাৎ চলতি মৌসুমে অংশ নিতে সমস্যা না হলেও মাঝপথে কোনো পরিবর্তন আনার সুযোগ আর থাকছে না কিংসের। নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার আগেই অবশ্য কিউবা মিচেলকে বড় সাইনিং হিসেবে দলে টেনেছে তারা।
বাংলাদেশের ফুটবলে ট্রান্সফার নিষেধাজ্ঞা নতুন কিছু নয়। এ পর্যন্ত পাঁচবার এমন শাস্তি দিয়েছে ফিফা। যার মধ্যে তিনটি শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের। ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্সও গত মৌসুমে এক উজবেক ফুটবলারের পাওনা না দেয়ায় নিষেধাজ্ঞায় পড়েছিল, যদিও অর্থ পরিশোধের পর তা প্রত্যাহার হয়।
তবে বসুন্ধরা কিংসের এই ধরনের শাস্তি এড়ানোর উপায়ও আছে। পাওনা অর্থ পরিশোধ, কোচ বা খেলোয়াড়ের সঙ্গে সমঝোতা কিংবা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা কাটানো সম্ভব। কিন্তু নির্দেশনা না মানলে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে, এমনকি বাড়তি শাস্তিও (যেমন পয়েন্ট কর্তন বা অবনমন) হতে পারে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।