ঢাকাThursday , 23 October 2025
  1. world cup cricket t20
  2. অলিম্পিক এসোসিয়েশন
  3. অ্যাথলেটিক
  4. আইপিএল
  5. আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আরচারি
  8. এশিয়া কাপ
  9. এশিয়ান গেমস
  10. এসএ গেমস
  11. কমন ওয়েলথ গেমস
  12. কাবাডি
  13. কুস্তি
  14. ক্রিকেট
  15. টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

এক যুগ পর সামনে সেই থাইল্যান্ড

BDKL DESK
October 23, 2025 8:42 pm
Link Copied!

নারী ফুটবলে তখনো প্রতিষ্ঠিত দল হয়ে ওঠেনি বাংলাদেশ। বয়সভিত্তিক দলগুলো আশা জাগানিয়া পারফরম্যান্স করলেও জাতীয় দলের অবস্থা ছিল সাধারণ মানের। দক্ষিণ এশিয়ার বাইরের দলগুলোর বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা বলতে একটি ম্যাচ।

এমন একটা সময়ে বাংলাদেশ প্রথমবার এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে নাম লিখিয়ে গ্রুপে পড়েছিল থাইল্যান্ড, ফিলিপিাইন ও ইরানের সামনে। ২০১৩ সালের মে মাসে ঢাকায় বসেছিল বাছাইয়ের ‘বি’ গ্রুপের খেলা। প্রথম ম্যাচেই প্রতিপক্ষ ছিল থাইল্যান্ড। থাইল্যান্ডের ঝুলিতে তখন একবার এশিয়ান কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অভিজ্ঞতা।

বাংলাদেশের মেয়েদের কাছে তখন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোই বিশাল প্রতিপক্ষ। এ অঞ্চলের বাইরের কোনো দলের বিপক্ষে মাত্র একটি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা। ২০১১ সালে অলিম্পিক বাছাইয়ে উজবেকিস্তানের বিপক্ষে খেলে হেরেছিল ৩-০ গোলে। সেই অবস্থায় সাবিনারা এশিয়ান কাপ বাছাই খেলতে নেমে রীতিমতো হাবুডুবুই খেয়েছিলেন।

ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়াম থাইল্যান্ড জিতেছিল ৯-০ গোলে। আন্তর্জাতিক নারী ফুটবলে এটিই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হার। বাছাইয়ের বাকি দুই ম্যাচে বাংলাদেশের হার ছিল ইরানের কাছে ২-০ ও ফিলিপাইনের কাছে ৪-০ গোলে।

৯ গোলের হারের এক যুগ ৫ মাস ৩ দিন পর বাংলাদেশ আবার খেলতে নামছে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে। এবারের ম্যাচ ফিফা ফ্রেন্ডলি। বাংলাদেশ আগামী মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় খেলবে এএফসি নারী এশিয়ান কাপ। সেই টুর্নামেন্টের প্রস্তুতির অংশ নিবে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল থাইল্যান্ড গেছে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে। প্রথমটি শুক্রবার, দ্বিতীয়টি সোমবার।

ধারে-ভারে আর ইতিহাস-ঐতিহ্যে দুই দেশের পার্থক্য বিস্তর। থাইল্যান্ড নারী বিশ্বকাপ খেলেছে দুইবার। ১৭ বার এশিয়ান কাপ খেলে একবার চ্যাম্পিয়নও হয়েছে। অন্য দিকে বাংলাদেশ এই প্রথম এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। ফিফা র্যাংকিংয়েও বড় পার্থক্য বাংলাদেশ (১০৪) ও থাইল্যান্ডের (৫৩)।

এশিয়ান কাপে বাংলাদেশকে খেলতে হবে চীন, উত্তর কোরিয়া ও উজবেকিস্তানের মতো দলের বিপক্ষে। তার আগে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দুটি হবে আফঈদাদের জন্য দারুণ কার্যকর। গত এক যুগে নারী ফুটবলে বাংলাদেশ এগিয়েছে অনেক। থাইল্যাান্ডের বিপক্ষে যখন খেলেছিল তখন বাংলাদেশ ছিল অনভিজ্ঞ এক দল। অর্জন বলতে ছিল না কিছু।

এখন বাংলাদেশের মেয়েরা দুইবারের দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন। এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জনকারী দল। এশিয়ার সেরা ১২ দলের একটি। স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশ দেখাতে চাইবে তাদের শক্তি। এই এক যুগের অধিক সময়ে বাংলাদেশের নারী ফুটবল কতটা উন্নতি করেছে, সেটা প্রমাণ করার পালা থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দুটি।
ব্যাংককে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।