স্বাধীনতা কাপের চ্যাম্পিয়ন কিংস

বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে গত কয়েক বছর ধরেই আধিপত্য বসুন্ধরা কিংসের। সেই ধারাবাহিকতা আরও একবার বজায় রাখল দলটি। মোহামেডানকে হারিয়ে স্বাধীনতা কাপের শিরোপা জিতেছে কিংস।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে মোহামেডানকে ২-১ গোলে হারিয়েছে কিংস। আর তাতে তৃতীয়বারের মতো এই টুর্নামেন্ট শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতল দলটি।

নাটকীয়ভাবে ফাইনাল ম্যাচ জিতেছে বসুন্ধরা কিংস। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই লাল কার্ড দেখে দশজনের দলে পরিণত হয় কিংস। প্রথমে গোলও হজম কর তারাই। তবে এরপর ১০ জন নিয়েই দুই গোল করে দলটি, জিতে নেয় শিরোপার মুকুট।

গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মণি স্টেডিয়ামে এমানুয়েলের গোলে সাদা-কালোরা এগিয়ে গেলেও কিংসকে ম্যাচে ফেরান রাকিব হোসেন। আর শিরোপা নিশ্চিতের গোলটি করেন দরিয়েলতন গোমেজ।

শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে কিংস। চতুর্থ মিনিটে ভালো সুযোগ আসে তাদের সামনে। তবে বক্সের ভেতরে বলের নিয়ন্ত্রণ নিলেও ভারসাম্য ধরে রেখে ঠিকঠাক শট করতে পারেননি রফিকুল ইসলাম, দুর্বল শটে বল যায় পোস্টের বাইরে। চতুর্দশ মিনিটে বক্সের বেশ বাইরে থেকে জোরাল শট নেন রবিনহো, ঝাঁপিয়ে আটকান মোহামেডান গোলরক্ষক সুজন হোসেন।

বিরতির পর দশ জনের দলে পরিণত হয় বসুন্ধরা কিংস। মোহামেডানের ওমর বাবুকে ফাউল করায় সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন উইঙ্গার রফিকুল ইসলাম। কিংসের একজন না থাকার সুযোগ পরের মিনিটেই কাজে লাগায় সাদা-কালোরা। মোজাফফরভের কর্নারে বক্সে জটলার মধ্যে হেডে জাল খুঁজে নেন এমানুয়েল সানডে।

পিছিয়ে পরা কিংস দ্রুত ধাক্কা সামাল দেয়। ম্যাচে ফিরতে সময় নেয় মাত্র দুই মিনিট। মিগেল ও রবিনহোর দারুণ রসায়নে আক্রমণে যায় কিংস, বক্সে রোবিনহোর প্রচেষ্টা সাদা-কালো এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে ফেরা বল পেয়ে সোজা জালে পাঠান রাকিব হোসেন।

৮৬ মিনিটে লিডও পেয়ে যায় কিংস। মিগেলের বাড়ানো পাস বক্সে পেয়ে নিখুঁত শটে বল জালে পাঠান দরিয়েলতন। আর এই গোলে নিশ্চিত হয়ে যায় কিংসের শিরোপা।