মেয়েদের ফুটবলে এমন সময়ও গিয়েছে, যখন বাংলাদেশের কাছে বেশ শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। পাঁচ-ছয় গোল হজম করাটা ছিল বাস্তবতা। দিন বদলের পালায় দৃশ্যপটে এসেছে পরিবর্তন। টিম ইন্ডিয়ার সঙ্গে চোখে চোখ রেখে বাঘিনীরা করছে লড়াই। জাতীয় ও বয়সভিত্তিক দল মাঠের ফুটবলে দেখছে নিয়মিত জয়।
নেপালকে ৪-০ গোলে হারিয়ে মেয়েদের সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের টিকিট কেটেছে ভারত। শিরোপা নির্ধারণী খেলায় দলটির প্রতিপক্ষ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের নিয়ে আবারো ভারতীয় কোচ শুক্লা দত্তের কন্ঠে ঝরেছে প্রশংসা। লাল-সবুজের দল ভবিষ্যতে এশিয়ান কাপে খেলবে, এমন বিশ্বাসের কথাও জানান।
মঙ্গলবার কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে শুক্লা বলেন, ‘এটা খুবই ইতিবাচক দিক। বাংলাদেশ খুব ভালো উন্নতি করছে। আরও উন্নতি করবে। আমার আশা এশিয়ান কাপে যাবে।’
দুই বছর আগে ঢাকাতেই বসেছিল মেয়েদের সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসর। সেবার ভারতকে একমাত্র গোলে হারিয়ে বাঘিনীরা জিতেছিল শিরোপা। এবার তবে কি ভারতীয় মেয়েরা প্রতিশোধের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামবে? চ্যাম্পিয়ন হওয়ার উদ্দেশ্য থাকলেও শুক্লা অবশ্য বিষয়টিকে প্রতিশোধ হিসেবে দেখতে নারাজ। বললেন, ‘না ওদের সঙ্গে প্রতিশোধের কিছু নেই। একটা ব্যাপার, আমাদের সঙ্গে বাংলাদেশের আবার দেখা হচ্ছে।’
বড় ব্যবধানে জিতলেও ভারত প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি, খেলেছে ছন্দহীন ফুটবল। খেলোয়াড়দের বিশ্রামের অভাবকেই এ জন্য কোচ দায়ী করেন।
‘বাস্তব একটা কথা বলি, ৯০ মিনিটের পর ৪৮ ঘন্টা বিশ্রাম লাগে। সেটা একদম হয়নি। একটা ম্যাচের পর মাঝে একদিন বিরতি। পরশুদিন আবার ফাইনাল। আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না, কীরকম ধকল খেলোয়াড়দের যায়। শারীরিকভাবে ধকল সামলে আগের অবস্থায় ফিরে আসতে ৪৮ ঘণ্টা লাগে। সেই ধকলটা ভারতীয় খেলোয়াড়দের উপর দিয়ে যাচ্ছে। শুধু ভারত নয়, আমি মনে করি অন্যান্য দলেরও একই ধকল যাচ্ছে। ’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।