ফিফা ফরোয়ার্ড প্রোগ্রামের আওতায় আরও ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পেতে যাচ্ছে বাফুফে। আগের বরাদ্দ সাড়ে ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সঙ্গে নতুন অর্থ যোগ করে খুব দ্রুতই কক্সবাজার সেন্টার অব এক্সিলেন্সের কাজ শুরু করতে চায় ফেডারেশন। ডিপিপি স্থগিত হয়ে যাওয়ায় ফুটবলের একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা বিষয়টিকে বিকল্প হিসেবে দেখছে বাফুফে।
ফান্ড রেডি থাকার পরও গেল বছর কক্সবাজারে ফিফা সেন্টার অব এক্সিলেন্স নির্মাণ কাজ শুরু করতে পারেনি বাফুফে! ভূমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হলেও কিছু বিষয়ে জটিলতা থাকায় দেরি হয় সেই প্রক্রিয়া। এর মাঝেই আবার তৈরি হয়েছে নতুন বরাদ্দের সম্ভাবনা।
ফিফা ফরোয়ার্ড প্রোগ্রামের আওতায় এবার আরও ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাবে বাফুফে। যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে ঈদ উল ফিতরের পর ঢাকা আসবে ফিফা প্রতিনিধি দল। সব মিলিয়ে সাড়ে ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে আরও উন্নত সুবিধা সম্পন্ন ট্রেনিং সেন্টারের দিকে দৃষ্টি বাফুফের।
বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেন, ‘আমাদের আগের যে টাকা তা তো রয়েছেই, তার সঙ্গে আরও ৩ মিনিয়ন ডলার যোগ হচ্ছে। এ টাকাটা দিয়ে আমাদের প্রয়োজনীয় কাজটা করতে পারব। পরবর্তীতে যে টাকাটা আমরা পেতে যাচ্ছি, তা দিয়ে আমাদের টেকনিক্যাল সেন্টারের উন্নতি সাধনসহ আরও কি কি ডেভেলপমেন্ট আমাদের দরকার সে বিষয়ে আমরা ফিফার সাথে কাজ করব।’
সম্প্রতি বাফুফের সাড়ে ৫০০ কোটি টাকার ডিপিপি স্থগিত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় তাই কক্সবাজার সেন্টার অফ এক্সিলেন্সকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে ফেডারেশন। সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরই কার্যক্রম শেষ করতে চায় বাফুফে।
বাফুফের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘২০২৩ সালে টেকনিক্যাল সেন্টারটি বাস্তবায়ন করা যায় কিনা সে বিষয়ে আমরা ফিফার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছি। আমরা আলোচনা করেছি এই বছর কিংবা আগামী এক বছরের মধ্যে আমাদের টেকনিক্যাল সেন্টারটি বাস্তবায়ন করতে পারি। ফলে আমরা কিন্তু সেই টাইমলাইনগুলো মাথায় রেখে কাজ করে যাচ্ছি।’
এরই মধ্যে কক্সবাজার খুনিয়াপালংয়ে ২০ একর জায়গা বুঝে পেয়েছে বাফুফে। তবে ভূমি অধিগ্রহনের জন্য স্থানীয়দের ক্ষতিপূরণ বাবদ ২০-২২ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে ফেডারেশনকে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।