দারুণ একটি ম্যাচ দেখার অপেক্ষায় ছিল দর্শকরা। মৌসুমের প্রথম বড় ম্যাচে বসুন্ধরা কিংস ও আবাহনীর লড়াই ঘিরে দর্শকদের চাওয়াটা অমূলক ছিল না। কিন্তু স্বাধীনতা কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আবাহনী কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতায়ই করতে পারলো না কিংসের সাথে।
প্রথমার্ধ গোলশূন্যভাবে শেষ হওয়া ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে গোলের বন্যা বইয়ে দেয় কিংস। আবাহনীর জালে গুনেগুনে ৪ গোল দিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে উঠে যায় অস্কার ব্রুজনের দল। কিংসের গোল করেছেন সোহেল রানা-২, ডরিয়েলটন, মিগুয়েল ও রবসন।
অথচ এ ম্যাচের শুরুটায় মাঠে বারুদের গন্ধই ছড়িয়েছিল। বিশেষ করে কিকঅফ থেকে আবাহনী যেভাবে তেড়েফুড়ে কিংসের রক্ষণে হানা দিচ্ছিল তাতে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় স্বাগতিক দর্শকদের মধ্যে হতাশাই কাজ করছিল। তাহলে কি ঘরের মাঠে প্রথমবারের মতো তারা হেরে যাবে?
আবাহনীর প্রথমার্ধের ধাক্কাটা সামলিয়েছেন কিংসের তরুণ গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। গোটা তিনেক দুর্দন্ত সেভ করে শ্রাবণ গোলবঞ্চিত করেছেন আবাহনীকে। প্রথমার্ধে আবাহনীকেও বাঁচিয়েছেন তাদের ব্রাজিলিয়ান জোনাথান। মোরসালিনের শট পোস্টে ঢোকার ঠিক আগে ক্লিয়ার করে নিশ্চিত গোল বাঁচিয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান।
গোলের সুযোগ-পাল্টা সুযোগ; প্রথমার্ধ টানটান উত্তেজনায় শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে আরো তুমুল লড়াই প্রত্যাশা করেছিলেন দর্শকরা। কিন্তু শেষ ৪৫ মিনিটে আবাহনীকে খোলসে বন্দী করে কিংস মাঠে ছড়ি ঘোরাতে থাকে। বিরতির পর খেলা শুরুর চার মিনিটের মধ্যে গোল করে কিংসকে এগিয়ে দেন এ বছর আবাহনী থেকে থেকে নতুন ঠিকানায় আসা সোহেল রানা-২।
এরপর আবাহনীকে ছিন্নভিন্ন করে দেন কিংসের তিন ব্রাজিলিয়ান। ৫৩ মিনিটে রাকিবের পাস থেকে ডরিয়েলট, ৭৭ মিনিটে সাদ উদ্দিনের ক্রস থেকে মিগুয়েল এবং ৮৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে রবসন গোল করলে বড় হার নিয়ে মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়ে আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির আবাহনী।
শীর্ষ ফুটবলে ওঠার পর টানা চতুর্থবারের মতো স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে নাম লেখালো কিংস। ১৮ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে মোহামেডানের মুখোমুখি হবে তারা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।