বিশ্বকাপ ফুটবলের চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নেওয়াটা বাংলাদেশের জন্য বড়ই কঠিন। তারপরও আশা নিয়ে বাছাইপর্ব শুরু করতে যাচ্ছে হাভিয়ের কাবরেরার দল। যতদূর যাওয়া যায়। এবার এশিয়া থেকে ২০২৬ বিশ্বকাপে ৮টি দল সরাসরি যাবে চূড়ান্ত পর্বে। এছাড়া একটি দল সুযোগ পেতে পারে প্লে অফে খেলে।
বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে ৯ গ্রুপে লড়াই হবে। ৯ চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল যাবে তৃতীয় রাউন্ডে। এছাড়া সরাসরি এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। তৃতীয় রাউন্ডে ১৮ দল তিন গ্রুপে লড়াই করবে। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিক খেলবে সবাই। শীর্ষ দুটি দল সরাসরি খেলবে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে।
সেখান থেকে চতুর্থ রাউন্ডে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান অর্জনকারী ৬ দল নিয়ে দুই গ্রুপে লড়াই হবে। নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলা হবে। দুই গ্রুপের জয়ী দল খেলবে বিশ্বকাপে। আর রানার্সআপ দুই দল পঞ্চম রাউন্ডে এসে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে খেলে প্লে অফের জন্য টিকিট কাটবে।
বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডে আই গ্রুপে বাংলাদেশ রয়েছে। সেখানে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে অস্ট্রেলিয়া ২৭, লেবানন ১০১, ফিলিস্তিন ৯৭ ও বাংলাদেশ ১৮৯তম স্থানে আছে।
বাংলাদেশের অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে ১৬ নভেম্বর থেকে। মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ। এরপর ২১ নভেম্বর লেবাননের বিপক্ষে লড়াই ঢাকায়।
২০২৪ সালের ২১ মার্চ ফিলিস্তিনের বিপক্ষে খেলতে হবে। অ্যাওয়ের ম্যাচের ভেন্যু এখনও ঠিক হয়নি। একই বছরের ২৬ মার্চ ঢাকায় ফিলিস্তিনের বিপক্ষে লড়াই। ৬ জুন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঢাকায় বাংলাদেশের হোম ম্যাচ। পাঁচ দিন পর ১১ জুন বাংলাদেশকে আতিথেয়তা দেবে লেবানন।
তিনটি দলের বিপক্ষে আগে বাংলাদেশের খেলার সুযোগ হয়েছিল। তবে ফল মিশ্র। ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে খেলেছে বাংলাদেশ। ঢাকায় ৪-০ ও পার্থে ৫-০ গোলে হেরেছিল লাল-সবুজ দল।
ফিলিস্তিনের বিপক্ষে চারবার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। তিনবার হেরেছে আর একবার ড্র করেছে।
লেবাননের বিপক্ষে তিনবারের দেখায় বাংলাদেশ একবার জিতেছে, হেরেছে দুটি। তবে জামাল ভূঁইয়াদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স আশা দেখাচ্ছে। অন্তত লড়াই করার মানসিকতা নিয়েই মাঠে নামবে সবাই।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।