ইডেন গার্ডেন্সে তীরে গিয়ে তরী ডুবলো রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। কলকাতা নাইট রাইডার্সের দেওয়া ২২৩ রানের লক্ষ্য ছুঁয়েই ফেলেছিল তারা। শেষ দুই বলে তারা উইকেট হারালো। শেষ বলে ফিল সল্ট দুর্দান্ত ডাইভে লকি ফার্গুসনকে রান আউট না করলে সুপার ওভারে গড়াতো ম্যাচ। তেমনটা হয়নি, ১ রানের শ্বাসরুদ্ধকর জয় পায় কলকাতা।
উইল জ্যাকস ও রজত পতিদারের একশ ছাড়ানো জুটিতে লড়াইয়ের ভিত গড়ে ফেলেছিল বেঙ্গালুরু। দিনেশ কার্তিক হতে পারতেন নায়ক। কিন্তু ১৯তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ২০২ রানে তিনি থামেন।
শেষ ওভারে লাগতো ২১ রান। ২ বলে ২ রান করা করণ শর্মা মিচেল স্টার্কের প্রথম চার বলে তিনটি ছক্কা মেরে ম্যাচ জমিয়ে দেন। উৎসবের অপেক্ষায় ছিল বেঙ্গালুরু। অস্ট্রেলিয়ান পেসার পঞ্চম বলটি করেছিলেন গোড়ালি বরাবর। ফিরতি শট খেলেন করণ, নিচু হয়ে ডানহাতে ক্যাচ নিয়ে খেলা ঘুরিয়ে দেন স্টার্ক। শেষ বলে লাগতো ৩ রান, সুপার ওভারে নিতে প্রয়োজন ২ রান। নতুন ব্যাটার লকি ফার্গুসন ঝুঁকি নিয়ে দুটি রান নিতে গিয়ে স্ট্রাইক প্রান্তে উইকেটকিপার সল্টের দুর্দান্ত ডাইভে রান আউট হন। ২২১ রানে অলআউট বেঙ্গালুরু।
কলকাতার ইনিংসে শেষ দুই ওভারই হয়তো বেঙ্গালুরুকে তাড়া করে বেড়াবে। তাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল ম্যাচ। ১৮ ওভার শেষে ১৮৬ রান করা কলকাতা হয়তো ২১০ রানের বেশি করতে পারতো না। কিন্তু মোহাম্মদ সিরাজ ও যশ দয়াল দিলেন যথাক্রমে ২০ ও ১৬ রান!
এই সময়ে আন্দ্রে রাসেল ও রমনদীপ সিং ঝড় তোলেন। ২০ বলে অপরাজিত ২৭ রান করা রাসেল বল হাতে ২৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। রমনদীপ খেলেন ৯ বলে ২৪ রানের হার না মানা ইনিংস।
এর আগে সল্ট ১৪ বলে ৭ চার ও ৩ ছয়ে ৪৮ রান করে কলকাতাকে ভালো শুরু এনে দেন সল্ট। ষষ্ঠ ওভারে সুনীল নারিন ও আংক্রিশ রাঘুবংশীকে ফিরিয়ে বড় ধাক্কা দেন দয়াল। তবে শ্রেয়াস আইয়ার ৩৬ বলে ৫০ রান করে হাল ধরেন।
শেষ দিকে রাসেল ও রমনদীপের মারকুটে ব্যাটিংয়ে ৬ উইকেটে ২২২ রান করে কলকাতা। ম্যাচ শেষে তাদের ইনিংসই গড়ে দিলো পার্থক্য।
লক্ষ্যে নেমে ৩৫ রানে ২ উইকেট হারানো বেঙ্গালুরুকে লড়াইয়ে ফেরান জ্যাকস ও রজত। দুজনের ১০২ রানের জুটি হয়েছিল। সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন জ্যাকস, ৫২ রান আসে রজতের ব্যাটে। দুজনকেই ফেরান রাসেল। কার্তিকও ছিলেন ক্যারিবিয়ান পেসারের শিকার। ব্যাট হাতে শেষ দিকে ঝড় তোলার পর গুরুত্বপূর্ণ তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন রাসেল।
বেঙ্গালুরুর ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বিরাট কোহলি ৭ বলে ১৮ রান করে হার্ষিত রানাকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে বিতর্কিত আউট হন। প্রাথমিকভাবে ফুল টস বলটি উচ্চতার কারণে নো বল মনে করা হলেও থার্ড আম্পায়ার রিভিউ দেখে আউটের সিদ্ধান্ত জানান। তাতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন কোহলি।
এই জয়ে ৭ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে টপকে দুইয়ে উঠলো কলকাতা। ৮ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে বেঙ্গালুরু সবার শেষে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।