ফিফা র্যাংকিংয়ে ১৯৯ নম্বরে থাকা পূর্ব আফ্রিকার দেশ সিশেলসের কাছেও হারতে হলো বাংলাদেশকে। এমনই বেহাল দশা লাল-সবুজদের ফুটবলে। এই পরাজয়ে আরো একটি দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের স্বপ্নেও মৃত্যু হলো জামাল ভূঁইয়াদের। প্রথম ম্যাচ হারা সিশেলস দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজ ১-১ এ ড্র করলো।
সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে, পুরো খেলা জুড়ে বাংলাদেশের ফুটবলাররা শুধু ছোটাছুটিই করেছেন। না পেরেছেন ডিফেন্স চেরা পাস দিতে, না পেরেছেন প্রতিপক্ষের পোস্টে ভালো কিছু শট নিতে। জাতীয় দলের জার্সিতে পা বাঁচিয়ে খেলার মানসিকতা একটুও কমেনি ফুটবলারদের। তাইতো সিশেলসের কাছে হেরে লজ্জা পেতে হয় বাংলাদেশকে।
আগের ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে এলিটা কিংসলেকে খেলিয়েছিলেন কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। দ্বিতীয় ম্যাচে তাকে ব্যবহার করা হয়েছে আরও পরে। প্রথম ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও দুটি ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন নতুন এই বাংলাদেশি। কিন্তু পরপর দুই ম্যাচে নিজের প্রয়োজনীয়তা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন কিংসলে।
তবে এই ম্যাচ ড্র করার সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের। দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশকে একটি ন্যায্য পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত করেছেন ভুটানের রেফারি। বক্সে সিশেলসের ডিফেন্ডারের হাতে বল লাগলেও এড়িয়ে যান ভুটানের রেফারি।
বাংলাদেশ ভালো একটা সুযোগ পেয়েছিল প্রথমার্ধেও। কিন্তু অনেকটা ফাঁকাপোস্টে রাকিব যে শট নিয়েছেন সেটি চলে গেছে বাইরে। পোস্টে শট রাখতে পারলে গোল হতেও পারতো।
এ নিয়ে বাংলাদেশ পূর্ব আফ্রিকার দেশ সিশেলসের বিপক্ষে ৩ ম্যাচ খেলে প্রথম হারলো। এর আগে ২০২১ সালে শ্রীলঙ্কায় চারজাতি টুর্নামেন্টে এই দলটির বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছিল বাংলাদেশ। সিলেটে আগের ম্যাচ জিতেছিল ১-০ গোলে।
প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিল ১-০ গোলে। আর আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় ম্যাচে সিশেলসের জয়ের ব্যবধানও ঠিক তাই। ৬০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে সিরিজে সমতাসূচক গোলটি করেছে সফরকারী দলটি। গোলদাতা ম্যানচিয়েন।
অপেশাদার দলের বিপক্ষে ঘরোয়া লিগে প্রায় কোটি টাকা পাওয়া ফুটবলাররা চুপসে গেলো বেলুনের মতো। এই ম্যাচের মধ্যে দিয়ে আরো একবার প্রমাণ হলো বাংলাদেশের ফুটবলারদের অতি পারিশ্রমিকই সব সর্বনাশের মূল।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।