হ্যাটট্রিক সহ কেভিন ডি ব্রুইনের চার গোলে উলভারহ্যাম্পটনকে ৫-১ ব্যবধানে হারিয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জয়ের আরো কাছে চলে গেলো ম্যানচেস্টার সিটি। সিটিজেনদের পক্ষে বেলজিয়ান মিডফিল্ডারের এটিই প্রথম এবং প্রিমিয়ার লিগে তৃতীয় দ্রুততম হ্যাটট্রিক।
রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনাল থেকে বিদায়ের পর যেন তেতে আছে সিটি। টানা প্রিমিয়ার লিগে টানা দুই ম্যাচে করেছে ৫ গোল। আগের ম্যাচে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে জিতেছিল ৫-০ গোলে। অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে কষ্টের জয়ে পয়েন্টের দিক থেকে সিটিকে ধরে ফেলেছিল লিভারপুল। উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে জয়ে ব্যবধান ফের ৩ পয়েন্টে নিয়ে গেল গুয়ার্দিওলার দল। সঙ্গে গোল পার্থক্যেও এগিয়ে গেল বেশ। ৩৬ ম্যাচে ২৮ জয় ও ৫ ড্রয়ে সিটির পয়েন্ট ৮৯, লিভারপুলের ৮৬।
প্রতিপক্ষের মাঠে সপ্তম মিনিটেই এগিয়ে যায় সিটি। বের্নার্দো সিলভার ডিফেন্স চেরা পাস ধরে চমৎকার আড়াআড়ি শটে জাল খুঁজে নেন ডি ব্রুইন।
পরের মিনিটেই সমতা ফেরানোর দারুণ সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন চিকুইনিয়ো। তবে পেছন থেকে দারুণ স্লাইডে কর্নারের বিনিময়ে দলকে রক্ষা করেন এমেরিক লাপোর্ত। তবে বেশিক্ষণ উলভারহ্যাম্পটনকে ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি সফরকারীরা। একাদশ মিনিটে প্রতি আক্রমণ থেকে ডেনডোনকেরের গোলে ম্যাচে ফেরে সমতা।
১৬ মিনিটে আবার এগিয়ে যায় সিটি। দ্রুত ডি বক্সে ঢুকে যাওয়া স্টার্লিংকে বল বাড়ান ডি ব্রুইন। ইংলিশ ফরোয়ার্ড বলের নাগাল পাননি, তবে তার জন্য ঠিক মতো বল ক্লিয়ার করতে পারেননি গোলরক্ষক। সুযোগ কাজে লাগিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন ডি ব্রুইন। ২৪ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করে ব্যবধান আরও বাড়ান এই বেলজিয়ান মিডফিল্ডার। উলভারহ্যাম্পটনের একজনের কাছ থেকে বল কেড়ে স্টার্লিং বাড়ান ডি ব্রুইনেকে। ডি বক্সের মাথা থেকে বুলেট গতির শটে বাকিটা সারেন তিনি। কিছুই করার ছিল না পর্তুগিজ গোলরক্ষক জোসে সার।
দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করতে থাকে ম্যানচেস্টার সিটি। ৬০ মিনিটে চতুর্থবারের মতো জালে বল পাঠান ডি ব্রুইন। ফিল ফোডেনকে বল বাড়িয়ে ডি বক্সের দিকে এগিয়ে যান তিনি। ফোডেন ক্রস দেন স্টার্লিংকে লক্ষ্য করে। উলভারহ্যাম্পটনের একজন ক্লিয়ারের চেষ্টায় সফল হননি, পেয়ে যান ডি ব্রুইন। বাকিটা সারতে কোনো সমস্যাই হয়নি তার। পাঁচ মিনিট পর ফোডেনের শট পোস্ট লেগে ব্যর্থ হলে ব্যবধান আরও বাড়েনি।
খেলার ৮৪ মিনিটে দলের পঞ্চম গোলটি করেন স্টার্লিং। জ্যাক গ্রিলিশের কাছ থেকে বল পেয়ে গোলের জন্য শট নিয়েছিলেন জোয়াও কানসেলো। স্বাগতিকদের একজনের পায়ে লেগে গতি কমে গেলে গোলমুখে পেয়ে যান স্টার্লিং। ফাঁকা জালে সহজেই বল পাঠান তিনি। এই জয়ের পর শিরোপা ধরে রাখতে শেষ ২ ম্যাচে আর ৪ পয়েন্ট দরকার পেপ গার্দিওয়ালার দলের।